সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করা ‘মাই ফ্রেন্ড কেইলা’ পুতুল শিশুদের কথা শুনে সেই অনুযায়ী উত্তর দিতে পারে। পুতুলটির মধ্যে থাকা ব্লুটুথ দিয়ে ইন্টারনেটে প্রবেশ করে একটি অ্যাপ ব্যবহার করে এই আলাপচারিতার কাজ চলে।
জার্মানির টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা ফেডারেল নেটওয়ার্ক এজেন্সির আশঙ্কা, হ্যাকাররা এই অসুরক্ষিত ব্লুটুথ ডিভাইস ব্যবহার করে এমনকি শিশুটির সঙ্গে গোপনে সরাসরি যোগাযোগও রক্ষা করতে পারবে।
পুতুলটি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ‘জেনেসিস টয়েস’ এখনও এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।
পুতুলটি বাজারজাত করে ‘ভিভিড টয় গ্রুপ’। তাদের পক্ষ থেকে এর আগে বলা হয়েছিল, বিশেষজ্ঞদের দিয়ে তারা পুতুলটি হ্যাকড হওয়ার সব সম্ভাবনা খতিয়ে দেখে সমস্যাগুলোর সমাধান করেছে।
এরপরও তারা সুরক্ষা নিয়ে নতুন করে ওঠা প্রশ্ন আমলে নিয়ে পুতুলে যে অ্যাপ ব্যবহার করা হয়েছে সেটি উন্নত করার চেষ্টা করবে বলে জানায়।
তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, সমস্যার সমাধান এখনও হয়নি।
বিবিসি জানায়, ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে সর্বপ্রথম যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভোক্তারা ‘কেইলা’ পুতুলের সফ্টওয়্যারে দুর্বলতার বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করে।
ইউনিভার্সিটি অব জারল্যান্ডের শিক্ষার্থী স্টেফান হ্যাসা ‘মাই ফ্রেন্ড কেইলা’ পুতুলের মধ্য দিয়ে গোয়েন্দাগিরি কিংবা হ্যাকিংয়ের পাল্লায় পড়ার বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশের পর ফেডারেল নেটওয়ার্ক এজেন্সি অভিভাবকদেরকে সতর্ক করল।
জার্মানির আইন অনুযায়ী, অবৈধ নরজদারি বা এজন্য ব্যবহৃত যেকোনও ধরণে যন্ত্র বিক্রি নিষিদ্ধ।