অপ্রত্যাশিত গর্ভধারণের সংখ্যা কমাতে চান দোতার্তে। বিশেষ করে গরিবদের মধ্যে জন্মহার কমাতে চান তিনি। কারণ, সরকারের দারিদ্র হ্রাস পরিকল্পনার জন্য পরিবার পরিকল্পনার প্রসার ঘটানোর এ পদক্ষেপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
কিন্তু দোতার্তের এ পদক্ষেপ রোমান ক্যাথলিক চার্চের বিরোধিতার মুখে পড়বে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
সোমবার দোতার্তে যে নির্বাহী আদেশে সই করেছেন তাতে বলা হয়েছে, যে ৬০ লাখ নারীকে আধুনিক পরিবার পরিকল্পনায় আনার কথা বলা হচ্ছে, তাদের মধ্যে ২০ লাখই গরিব। এই ২০ লাখ নারীকে ২০১৮ সালের মধ্যেই গর্ভনিরোধকের আওতায় আনতে হবে। এরপর আনতে হবে বাকীদেরকে।
ফিলিপিন্সের অর্থনৈতিক পরিকল্পনামন্ত্রী আর্নেস্টো পার্নিয়া বলেন, সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে ২০২২ সালের মধ্যে দারিদ্র্যের হার ১৩ শতাংশে নামিয়ে আনা। গতবছর যা ছিল ২১ দশমিক ৬ শতাংশ।
কিন্তু প্রভাবশালী রোমান ক্যাথলিকদের ধর্মীয় বিরোধিতায় পড়তে পারে সরকারের এ পরিকল্পনা। পিউ রিসার্চ সেন্টারের তথ্যমতে, ৮০ শতাংশের বেশি ফিলিপিনোই রোমান ক্যাথলিক।
প্রেসিডেন্ট দোতার্তের পূর্বসূরি বছরের পর বছর ধরে লড়াই করেও দেশটিতে গর্ভনিরোধকের ব্যবহার বাড়াতে পারেননি।
২০১৫ সালে সুপ্রিম কোর্ট জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি সরবরাহের ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। সরকার এই সাময়িক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার জন্য আবেদন করেছে।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলে ফিলিপিন্সই একমাত্র দেশ যেখানে গত দু’দশকে কিশোরী মেয়েদের গর্ভধারণের হার বেড়েছে।
দেশটির জনসংখ্যা প্রায় ১০ কোটি ৩০ লাখ।