বায়ুমন্ডলে বাড়ছে মিথেন গ্যাস, উদ্বিগ্ন বিজ্ঞানীরা

বায়ুমণ্ডলে মিথেন গ্যাসের পরিমাণ যে হারে বাড়ছে তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Dec 2016, 05:19 PM
Updated : 12 Dec 2016, 05:19 PM

বাতাসে কার্বন ডাইঅক্সাইডের তুলনায় মিথেন গ্যাস পরিমাণে কম থাকলেও গ্রিনহাউজ গ্যাসের ক্ষতিকর প্রভাবের ক্ষেত্রে মিথেনের ভূমিকা অনেক বেশি।

এ বিষয়ে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, বায়ুমণ্ডলে মিথেন গ্যাস বৃদ্ধির হার কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে নেওয়া সব চেষ্টাই ক্ষুন্ন হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রান্সিসকোতে আমেরিকান জিওগ্রাফিক্যাল ইউনিয়নের (এজিইউ) এবারের বৈঠকে মিথেন গ্যাস নিয়ে গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।

স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির রবার্ট জ্যাকসন বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তন রোধে এখনও কার্বন ডাইঅক্সাইড নির্গমন কমিয়ে আনাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু আমরা যদি মিথেন গ্যাসের উপস্থিতি বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি অবজ্ঞা করি তবে আমাদের ঝুঁকি থেকেই যাবে।”

২০০০ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বাতাসে মিথেন গ্যাসের উপস্থিতি প্রায় একই রকম ছিল। ২০০৭ সাল থেকে এ গ্যাস বাড়াতে থাকে এবং ২০১৪ ও  ২০১৫ সালে এটি খুব দ্রুতগতিতে বেড়েছে।

শেষ দুই বছরে বাতাসে মিথেন গ্যাসের উপস্থিতি প্রায় ১০ গুণ বেড়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পরিবেশ বিজ্ঞানী অধ্যাপক জ্যাকসন বিবিসি’কে বলেন, “মিথেনের অনেক উৎস আছে। তবে সম্প্রতি বাতাসে এ গ্যাসের উপস্থিতি দ্রুত গতিতে বেড়ে যাওয়ার পেছনে মূলত কৃষিকাজ দায়ী।”

কৃষিক্ষেত্রে মিথেন গ্যাসের উৎস বিভিন্ন গবাদি পশু, এমনকি ধান থেকেও মিথেন গ্যাস তৈরি হয়।

বিশেষ করে কর্দমাক্ত ভূমি থেকে যে মিথেন গ্যাস তৈরি হয় সেটি মোট পরিমাণের বড় অংশ। জমিতে রাসায়নিক সারের ব্যবহার ওই পরিমাণ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

অধ্যাপক জ্যাকসন বলেন, “মিথেনের বিষয়ে বিজ্ঞানী ও নীতি নির্ধারকরা আরও ভাল তথ্য জোগাড় করতে সক্ষম হবে বলে আমি আশাবাদী। কারণ, এখন অনেক নতুন ভূ-উপগ্রহ আসছে এবং সেগুলোর মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা নিয়মিত বিশ্বজুড়ে বায়ুমণ্ডলে মিথেন ঘনীভূত হওয়ার বিষয়ে তথ্য পাবে।”

“কার্বন ডাইঅক্সাইডের তুলনায় মিথেন নিয়ে গবেষণা অনেক বেশি জটিল। কারণ, এটি অনেক বেশি বিকীর্ণ। তবে আমার বিশ্বাস, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আমরা এ বিষয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করতে পারব।”