তামিলনাড়ুর নয়া মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন পান্নিরসেলভাম

ভারতের তামিলনাড়ুর নয়া মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন জয়ললিতার ঘনিষ্ঠ মিত্র বলে পরিচিত ও পান্নিরসেলভাম।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Dec 2016, 06:02 AM
Updated : 6 Dec 2016, 08:40 AM

এনডিটিভি বলছে, সোমবার রাতে মুখ্যমন্ত্রী ৬৮ বছর বয়সী জয়ললিতা জয়রাম চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করার পর মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে পান্নিরসেলভামের অভিষেক হয়।

এরআগে অক্টোবর থেকে তিনি ভারপ্রাপ্ত মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

৬৫ বছর বয়সী পান্নিরসেলভাম এরআগে দুইবার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে জয়ললিতা রাজ্য সরকারের যে আটটি মন্ত্রণালয় পরিচালনা করতেন ওই মন্ত্রণালয়গুলোর দায়িত্বও পান্নিরসেলভাম পালন করেছেন।

মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার সময় ডায়াসে জয়ললিতার একটি ছবি রেখেছিলেন পান্নিরসেলভাম। রাত সোয়া ১ টার দিকে রাজ ভবনে গভর্নর সিএইচ বিদ্যাসাগর রাও তাকে শপথবাক্য পাঠ করান। এ সময় জয়ললিতার রাজ্য সরকারের ৩১ জন মন্ত্রীর সবাই উপস্থিত ছিলেন। তারাও নতুন করে শপথ গ্রহণ করেন।

জয়ললিতার মৃত্যুর খবর ঘোষণার পর তার নেতৃত্বাধীন অল ইন্ডিয়া আন্না দ্রাবিড়া মুনেত্রা কাজাগাম (এআইএডিএমকে)  দ্রুতই পান্নিরসেলভামকে রাজ্য পরিষদের নেতা নির্বাচন করে।

চিকিৎসাধীন অবস্থায় গেল অক্টোবরে উপ-মুখ্যমন্ত্রী ও পান্নিরসেলভামের কাছে যাবতীয় প্রশাসনিক দায়িত্ব হস্তান্তর করেছিলেন জয়ললিতা।

এর আগেও পান্নিরসেলভাম আরও দুই দফা তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

২০০১ সালে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট জয়ললিতাকে মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনে বাধা দিলে একবছর পান্নিরসেলভাম ওই দায়িত্ব পালন করেন।

২০১৪ সালে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ার অভিযোগে জয়াললিতা দোষী সাব্যস্ত হলে আবারও তামিল নাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী হন ‘আম্মা’র ঘনিষ্ঠ পারিষদ পান্নিরসেলভাম।

২০১৫ সালের মে মাসে কর্নাটক হাইকোর্ট জয়ললিতাকে সব অভিযোগ থেকে খালাস দিলে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান পান্নিরসেলভাম।

জয়ললিতার ক্যারিয়ারের শুরু ১৯৬১ সালে তামিল ছবিতে, তখনও তিনি স্কুলছাত্রী। জনপ্রিয় অভিনেতা এম জি রামচন্দ্রনের হাত ধরে ১৯৮২ সালে রাজনীতিতে যোগ দেন এ অভিনেত্রী।

রামচন্দ্রন মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব ছাড়ার পর ১৯৯১ সালে তামিলনাড়ুর ক্ষমতায় বসেন তিনি। রাজনীতিতে দ্যুতি ছড়িয়ে পরিণত হন ‘আম্মা’য়।

জয়ললিতার মৃত্যুতে তামিলনাড়ুতে সাতদিনের শোক ঘোষণা করা হয়েছে।