গ্রিন পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জিল স্টেইন প্রাথমিকভাবে উইসকনসিন রাজ্যের ভোট পুনর্গণনার অনুরোধ জানানোর পর উইসকনসিনের নির্বাচনী বোর্ড শুক্রবার তা অনুমোদন করেছে।
স্টেইন মিশিগান ও পেনসিলভানিয়াতেও ‘পরিসংখ্যানগত অসঙ্গতির’ কথা বলে ভোট পুনর্গণনার দাবি তোলেন।
এ উদ্যোগকে ‘উদ্ভট’ আখ্যা দিয়েছেন নির্বাচনে জয় পেয়ে সদ্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তিনি অভিযোগ করে বলেছেন, “জিল স্টেইন ভোট পুনর্গণনার নামে নিজের পকেট ভরছেন। কারণ, তিনি সমর্থকদের কাছ থেকে অনুদান নিয়ে এ প্রক্রিয়ায় তহবিল যোগাচ্ছেন।”
জিল স্টেইনকে নির্বাচনের ফল মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ট্রাম্প বলেন, “নির্বাচনের ফলকে চ্যালেঞ্জ কিংবা কলুষিত না করে একে সম্মান করা উচিত।”
হিলারি শিবিরের আইনজীবী মার্ক এলিয়াস বলেছেন, তার শিবির উইসকনসিনসহ পেনসিলভানিয়া এবং মিশিগানেও ভোট পুনর্গণনায় অংশ নেবে।
শুধু উইসকনসিনে পুনর্গণনায় ফল না বদলালেও যদি অন্য দুটি রাজ্যেও ভোট পুনর্গণনা হয় এবং তিনটিতে হিলারি জয় পান, তবে ফল উল্টে যাবে।
এলিয়াস বলেন, “ভোট পক্রিয়ায় কোনও ধরনের কারচুপি হয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখার জন্য হিলারি শিবির ও বাইরের বিশেষজ্ঞরা নির্বাচনের ফল নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করেছেন।”
নির্বাচনে কারচুপির উদ্দেশ্যে কিছু করা হয়েছে কিনা তেমন কোনও প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি বলে জানান এলিয়াস। তবে তিনি বলেন, যে সাড়ে ছয় কোটির বেশি মার্কিনি হিলারি ক্লিনটনের সমর্থনে ভোট দিয়েছে, তাদের প্রতি দায়িত্ববোধ থেকে সত্যিই স্বচ্ছতার সঙ্গে ভোট গণনা হয়েছে কি না, তা জানার জন্য ভোট পুনর্গণনায় অংশগ্রহণে হিলারি শিবির বাধ্য।
ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে এলিয়াস বলেন, ভোট প্রক্রিয়ায় কোনও হ্যাকিং এর লক্ষণ তদন্তে না পাওয়ায় হিলারি শিবিরের ভোট পুনর্গণনায় অংশ নেওয়ার কোনও পরিকল্পনা ছিল না। কিন্তু এখন উইসকনসিন ভোট পুনর্গণনার উদ্যোগ নেওয়ায় আমরা এ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে ইচ্ছুক। যাতে করে ভোট প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা সবার কাছেই নিশ্চিত করা যায়।
ভোট পুনর্গণনা পর্যবেক্ষণ করতে হিলারি শিবিরের আইনগতভাবেই উইসকনসিনে উপস্থিত থাকা উচিত বলে জানান তিনি।