ফিদেল কাস্ত্রোর আলোচিত উক্তি

কিউবা বিপ্লবের নেতা থেকে বিশ্বজুড়ে সাম‌্যবাদের স্বপ্নচারীদের নায়ক বনে যাওয়া ফিদেল কাস্ত্রো তার জীবনের সঙ্গে পাঁচ দশকের শাসনকালে নানা বক্তব‌্য দিয়েও ছিলেন আলোচিত।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Nov 2016, 11:00 AM
Updated : 27 Nov 2016, 04:46 AM

শনিবার এই কমিউনিস্ট নেতার মৃত‌্যুর পর কিউবা বিপ্লবের এ মহানায়কের আলোচিত উক্তিগুলো তুলে এনেছে ইন্ডিপেনডেন্ট, রয়টার্স ও গার্ডিয়ান।

“আমাকে অপরাধী বানাতে পারো, এটা কোনো গুরুত্ব বহন করে না। ইতিহাস আমাকে মুক্তি দেবে”

(এই উক্তি করেছিলেন বাতিস্তা সরকারকে উৎখাতে ১৯৫৩ সালে মনকাদা ব্যারাকে হামলা চালানোর পর গ্রেপ্তার কাস্ত্রো বিচার চলাকালীন)

“বিপ্লব শুরু করেছিলাম ৮২ জন নিয়ে। আবার যদি একই কাজ করতে হয়, আমি হয়ত ১০ বা ১৫ জনকে নিয়ে এবং সম্পূর্ণ বিশ্বাস রেখেই শুরু করব। বিশ্বাস আর কর্মপরিকল্পনা থাকলে তুমি কতটা ছোট সেটা আর বিবেচ্য হবে না।”

(কিউবা বিপ্লবের পর ১৯৫৯ সালে করেন এই উক্তি)

“আমি দাড়ি কাটার চিন্তা বাদ দিয়েছি, কারণ আমি এতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি এবং এই দাড়ির অর্থ আমার দেশের জন্যও অনেক কিছু। একটি ভালো সরকার ব্যবস্থা নিশ্চিত করে যেদিন আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পারব, সেদিন আমি আমার দাড়ি কেটে ফেলব।”

(কিউবা বিপ্লবের ৩০দিন পর সিবিএস নিউজ এজেন্সির এডওয়ার্ড মুরোকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে)

“বিপ্লব গোলাপের শয্যা নয়. বিপ্লব হচ্ছে মৃত্যু পর্যন্ত অতীত ও ভবিষ্যতের মধ্যকার সংগ্রাম”

(১৯৫৯ সালে এই উক্তি করেন)

“অনেক আগেই আমি এই উপসংহারে পৌঁছেছি যে, কিউবার জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য আমাকে শেষ ত্যাগ- ধূমপান ছেড়ে দিতে হবে। আমি আসলে ওটাকে খুব একটা মিসও করছি না।”

(১৯৮৫ সালের ডিসেম্বরে ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার সময় বলছিলেন)

“আমি কখনোই আমার ভাবনা এবং অসাধারণ ওই প্রতীকের (যিশু খ্রিস্টের) ভাবনাচিন্তার মধ্যে দ্বন্দ্ব খুঁজে পাইনি।”

 (১৯৮৫ সালে বলেছিলেন)

“তথ্যে বিদ্ধ হতে হবে এবং মেনে নিতে হবে, সমাজতান্ত্রিক শিবিরের পতন হয়েছে।”

(১৯৯১ সালে সোভিয়েত রাশিয়ার পতনের পর কাস্ত্রো)

“তারা সমাজতন্ত্রের ব্যর্থতার কথা বলে, কিন্তু এশিয়া, আফ্রিকা আর দক্ষিণ আমেরিকায় পুঁজিবাদের সাফল্য কী?”

(১৯৯১ সালে সমাজতান্ত্রিক শিবিরের পতনের পর দেয়া এক বক্তব্যে)

“আমি বুঝতে পেরেছি যে, আমার আসল নিয়তি হচ্ছে যুদ্ধ করা, যেটা আমি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চালিয়ে যাচ্ছি।”

 (নিজেকে নিয়ে স্টোনের করা দ্বিতীয় তথ্যচিত্র ‘লুকিং ফর ফিদেল’ এর শুরুতে দেওয়া বক্তব্য)

“৮০ তে এসে আমি আজ সত্যিই খুশি। কখনও ভাবিনি এটা হবে, যখন প্রতিবেশী হিসেবে আছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী একটি দেশ, যারা প্রতিদিনই আমাকে মারতে চায়।”

(২০০৬ সালের ২১ জুলাই, আর্জেন্টিনায় লাতিন আমেরিকান প্রেসিডেন্টদের এক সম্মেলনে অংশ নেওয়ার সময়)

“হত্যার চেষ্টা এড়িয়ে যাওয়ার যদি কোনো অলিম্পিক ইভেন্ট থাকত, তাহলে নির্ঘাত তাতে স্বর্ণপদক জিততাম আমি।”

(যুক্তরাষ্ট্রকে ইঙ্গিত করে)

“দ্রুতই আমি অন্যদের মতো বিদায় নেব। এটা আমাদের সবার জীবনেই আসবে, কিন্তু কিউবার কমিউনিস্টদের ধারণা এ গ্রহে প্রমাণ হিসেবে টিকে থাকবে, যদি তারা ঐকান্তিকতা ও মর্যাদার সঙ্গে কাজ করে।…

(২০১৬-র এপ্রিলে কিউবান কমিউনিস্ট পার্টির কংগ্রেসে দেওয়া বিদায়ী ভাষণে)