‘মূল্যবোধ রক্ষায়’ লড়াইয়ের ডাক হিলারির

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরাজয়ের হতাশা সত্বেও বহু জাতি, ধর্ম, বর্ণের বহুমাত্রিক যুক্তরাষ্ট্রের জন্য নতুন লড়াই শুরু করার ডাক দিয়েছেন হিলারি ক্লিনটন।

>>রয়টার্স
Published : 17 Nov 2016, 10:01 AM
Updated : 17 Nov 2016, 10:08 AM

৮ নভেম্বরের ওই নির্বাচনে পরাজয় মেনে নেওয়ার পরথেকে জনসম্মুখে দেওয়া প্রথম বক্তৃতায় বুধবার এ ডাক দেন হিলারি।

নির্বাচনে রিপাবালিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে পরাজিত হন তিনি। ওই নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর যুক্তরাষ্ট্রের জাতিগত বিভাজনের রূপ দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে ‘চিলড্রেন ডিফেন্স ফান্ড’ এর স্কলারশিপ বিজয়ীদের সম্মানে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি জানান, ট্রাম্পের বিজয়ের পর যুক্তরাষ্ট্র আর আগের যুক্তরাষ্ট্র আছে কিনা অনেক আমেরিকান তাকে এমন প্রশ্ন করেছেন।

তিনি বলেন, “এই নির্বাচনের মাধ্যমে যে বিভাজন তৈরি হয়েছে তা গভীর, কিন্তু যখন আমি এ কথা বলি তখন অনুগ্রহ করে আমার কথা শুনুন। আমেরিকা এসব কাটিয়ে উঠবে, আমাদের শিশুরা এসব অগ্রাহ্য করবে। আমাদের দেশের ওপর আস্থা রাখুন, আমাদের মূল্যবোধের জন্য লড়াই করুন এবং কখনো হাল ছাড়বেন না।”

চিলড্রেন ডিফেন্স ফান্ডের প্রতিষ্ঠাতা ম্যারিয়ান রাইট এডেলম্যান অনুষ্ঠানটিকে ‘এ লাভ ইন ফর হিলারি রডহ্যাম ক্লিনটন’ বলে ঘোষণা করলেও হিলারি জানান, তার পক্ষে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়া সহজ ছিল না।

তিনি বলেন, “গত সপ্তাহের সময়গুলোতে আমি সারাক্ষণই একটি বই নিয়ে গুটিসুটি হয়ে শুয়ে থাকতে চেয়েছি অথবা আমাদের কুকুরগুলোর সঙ্গে থাকতে চেয়েছি এবং কখনো বাড়ির বাইরে আসতে চাইনি।

“আমি জানি আপনাদের অনেকেই নির্বাচনের ফলাফলে গভীরভাবে হতাশ। আমিও হতাশ, আমি যা প্রকাশ করতে পারছি তার চেয়েও বেশি হতাশ।

“কিন্তু গত সপ্তাহে আমি যেমন বলেছি, আমাদের প্রচারণা কখনো এক ব্যক্তির জন্য বা একটি নির্বাচনের জন্য ছিল না। যে দেশকে আমরা ভালবাসি এটি সেই দেশের জন্য ছিল এবং এমন আমেরিকা নির্মাণের জন্য ছিল যা আশাবাদী, বহুমাত্রিক এবং বিশাল হৃদয়ের অধিকারী।

“আমাদের সন্তানদের, আমাদের পরিবারের এবং আমাদের দেশের কল্যাণার্থে আমি আপনাদের বলছি সব পর্যায়ে লেগে থাকুন, লেগে থাকুন।

“এ পর্যন্ত আমি যা কিছু জেনেছি, তাতে আমি নিশ্চিত, আমেরিকা এই বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ দেশ, এখনো পর্যন্ত এটা সেই জায়গা যেখানে যে কেউ প্রতিকূলতাকে পরাজিত করতে পারে।”

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি আইনের ছাত্রী থাকার সময় থেকেই চিলড্রেন ডিফেন্স ফান্ডের সঙ্গে জড়িয়ে আছেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সাধারণ জনগণের ভোটে তিনি জয়ী হলেও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার জন্য অপরিহার্য ইলেক্টোরাল কলেজের ভোটে তিনি হেরে যান।