পাশাপাশি বৈঠকে কাদের আমন্ত্রণ জানানো হবে এবং কোন বিষয়ে কার সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে তাও চূড়ান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন তারা।
বৃহস্পতিবারের ওই বৈঠককে ঘিরে এই অনিশ্চয়তা দেখিয়েছে, নিজের ইচ্ছানুযায়ী চলা ব্যবসায়ী থেকে ট্রাম্পের সরাসরি প্রেসিডেন্ট হওয়ায় কী ধরনের সমস্যা তৈরি হয়েছে।
আগামী ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের অভিষেক হওয়ার কথা রয়েছে। তারপর থেকে পুরোপুরি সক্রিয় একটি প্রশাসনসহ আঁটোসাঁটো সূচি অনুযায়ী তাকে চলতে হবে।
এই বৈঠক আয়োজনের পরিকল্পনায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে যুক্ত করা হয়নি বলে বুধবার জানিয়েছেন জাপানি ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা। সাধারণত এ ধরনের বৈঠকের লজিস্টিক্যাল ও প্রটোকলের বিস্তারিত বিষয়গুলো অনেক আগেই চূড়ান্ত করা হয়, কিন্তু এক্ষেত্রে তা হয়নি।
এক জাপানি কর্মকর্তা বলেছেন, “এখনও অনেক সংশয় রয়ে গেছে।”
পেরুতে এশিয়া-প্যাসিফিক সম্মেলনে যোগ দেওয়ার পথে রয়েছেন অ্যাবে। এ ধরণের আঞ্চলিক সম্মেলন চলাকালে বিশ্ব নেতারা প্রায়ই দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করে থাকেন। এসব বৈঠক সাধারণত একটু ঢিলাঢালাই হয়।
তবে কোনো বিস্তারিত পরিকল্পনা ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্রে কোনো বিদেশি নেতার উচ্চ পর্যায়ের কূটনৈতিক বৈঠক একটি বিরল ঘটনা।
মাত্র গত সপ্তাহে দুপক্ষ এ সাক্ষাতের ব্যাপারে সম্মত হয়েছে, কিন্তু তার আগে-পরে ম্যানহাটনের ট্রাম্প টাওয়ারে ট্রাম্প ও তার উপদেষ্টারা যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসনে কে কোন দায়িত্ব পাবেন তাই নিয়ে আলোচনায়ই বেশি ব্যস্ত ছিলেন।