বিবিসি’র খবরে বলা হয়, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার বিকালে এক বৈঠকে ক্লে টাউন কাউন্সিল মেয়র বেভারলি হোয়ালিংয়ের পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করে।
কাউন্সিলের পক্ষ থেকে বলা হয়, হোয়ালিংয়ের মেয়াদের বাকি তিন বছরের জন্য দ্রুত নতুন মেয়রের নাম ঘোষণা করা হবে।
মূলত ক্লে টাউনের বাসিন্দা পামেলা রামসে টেইলরের একটি ফেইসবুক স্ট্যাটাস নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত।
ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর মিশেল ওবামার জায়গায় মেলানিয়া ট্রাম্প আসায় ক্লে কাউন্টি ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের পরিচালক টেইলর তার ফেইসবুক স্ট্যাটাসে বলেন, “হোয়াইট হাউজে অভিজাত, সুন্দরী ও সম্ভ্রান্ত একজন ফার্স্টলেডি আসা অত্যন্ত স্বস্তিদায়ক হবে। হিল পরা একটি বানরকে দেখতে দেখতে আমি ক্লান্ত।”
এখানে মন্তব্য করতে গিয়ে মেয়র হোয়ালিং বলেন, “দিনটি আমার করে দিলেন প্যাম।”
স্থানীয় নিউজ চ্যানেল ডব্লিউএসএজেড৩ তে সর্বপ্রথম এ ফেইসবুক পোস্ট নিয়ে খবর প্রচারিত হয় এবং এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠে।
এর প্রতিক্রিয়ায় লিখিতভাবে ক্ষমা চান হোয়ালিং।
স্থানীয় গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, “আমি আসলে হোয়াইট হাউজে পরিবর্তনের দিকে ইঙ্গিত করে দিনটি আমার হয়ে গেল বলেছি। এ কারণে যদি কেউ দুঃখ পেয়ে থাকেন তবে আমি সত্যিই আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাইছি। যারা আমাকে চেনেন তারা জানেন, আমি কোনও ভাবেই বর্ণবাদী নই।”
তবে ক্ষমা চেয়েও পার পাননি মেয়র হোয়ালিং। তার পদত্যাগের দাবিতে করা এক পিটিশনে এক লাখ ৭০ হাজারের বেশি মানুষ সই করে।
বিবিসি জানায়, ক্লে টাউনের বাসিন্দা মাত্র ৪৯১ জন। ২০১০ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, শহরটিতে আফ্রিকান বংশোদ্ভূত কোনও আমেরিকান বাস করে না। আর ক্লে কাউন্টিতে মোট ৯ হাজার বাসিন্দার ৯৮ শতাংশের বেশি শ্বেতাঙ্গ।
টেইলরকেও এরই মধ্যে তার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।