এদের মধ্যে রিপাবলিকান ন্যাশনাল কমিটির সভাপতি রাইনস প্রিবাস হচ্ছেন হোয়াইট হাউসের নতুন চিফ অব স্টাফ। ট্রাম্পের সুরে হোয়াইট হাউজকে সঙ্গত দেওয়ার জন্য তৈরি করার পাশাপাশি কংগ্রেসের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার কাজও প্রিবাসকে করতে হবে বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
ট্রাম্প তার চিফ স্ট্র্যাটেজিস্ট হিসেবে বেছে নিয়েছেন রক্ষণশীল দলের সমর্থক ব্রাইবার্ট নিউজ নেটওয়ার্কের সাবেক নির্বাহী চেয়ারম্যান স্টিভেন বেনন। ব্রাইবার্টের দায়িত্ব থেকে সাময়িক বিরতি নিয়ে নির্বাচনে তিনি ট্রাম্পের ক্যাম্পেইন চিফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
বিশ্বকে হতবাক করে গত ৮ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনকে হারিয়ে দেন রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প, যাকে ভোটের প্রচারের সময় নানা মন্তব্যের কারণে সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়েছে।
বারাক ওবামার টানা দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন শেষে আগামী ২০ জানুয়ারি হোয়াইট হাউজে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন নিউ ইয়র্কের ধনকুবের ট্রাম্প।
রোববার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “ভোটের প্রচারে দারুণ সফল দলটিকে আমি দেশের নেতৃত্বে দেওয়ার কাজেও পাশে পাচ্ছি। আমি রোমাঞ্চিত।”
গুরুত্বপূর্ণ দুই পদে কারা দায়িত্ব পাচ্ছেন সেই ঘোষণা দিয়ে ট্রাম্প বলেন, “স্টিভ আর রাইনস দুজনেই অত্যন্ত যোগ্য নেতা, যারা আমাদের নির্বাচনী প্রচারে একসঙ্গে কাজ করেছে এবং আমাদের ঐতিহাসিক জয়ের পথে এগিয়ে নিয়েছে। এখন হোয়াইট হাউজেও আমি তাদের পাশে পাচ্ছি, যেখানে আমাদের কাজ হবে আমেরিকাকে আবার শ্রেষ্ঠত্বের আসনে নিয়ে যাওয়া।”
ভোটের প্রচারের দিনগুলোতে ট্রাম্প ও রিপাবলিকান পার্টি প্রশাসনের মধ্যে সেতুবন্ধ হিসেবে কাজ করেছেন ৪৪ বছর বয়সী প্রিবাস। তিনি কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার পল রায়ানের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত এবং তারা দুজনেই এসেছেন উইসকনসিন থেকে। ট্রাম্প প্রশাসনের প্রস্তাবগুলো আইনসভায় পার করার ক্ষেত্রে পল রায়ানের ভূমিকা হবে গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেছেন, হোয়াইট হাউজের চিফ অব স্টাফ হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে যোগ দেওয়ার সুযোগ তার জন্য এক বিরাট সম্মান।
“নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের কাছে আমি কৃতজ্ঞ, তার এবং দেশের সেবা করার সুযোগ দেওয়ার জন্য। আমরা এমন এক অর্থনীতি গড়ে তুলতে চাই যার উপকার সবাই পাবে। আমরা আমাদের সীমান্ত সুরক্ষিত করতে চাই, ওবামা কেয়ার বাতিল করার পাশাপাশি ইসলামি সন্ত্রাসবাদকে ধ্বংস করতে চাই।”
ট্রাম্পের পক্ষে ভোটের প্রচারকে বাণিজ্যিক প্রচারের আদলে সাজিয়ে সফল হওয়াকে নিজের লক্ষ্য হিসেবে নিয়েছিলেন ৬২ বছর বয়সী বেনন।
নৌবাহিনীর কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকার ও চলচ্চিত্র প্রযোজনায় কাজ করা বেনন ব্রাইবার্ট নিউজ নেটওয়ার্কে যোগ দেন ২০১২ সালে। সে সময় ব্রাইবার্টকে ডানপন্থিদের হাফিংটন পোস্ট বানানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি।
ব্রাইবার্ট যুক্তরাষ্ট্রের রক্ষণশীলদের সবচেয়ে বেশি পঠিত নিউজ ওয়্সোইট, মূল ধারার সংবাদমাধ্যমকে চ্যালেঞ্জ জানানো যাদের অন্যতম লক্ষ্য।
নতুন দায়িত্ব পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেছেন, “নতুন প্রশাসনের এজেন্ডা এগিয়ে নিতে রাইনসের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ দেওয়ায় আমি নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে আমি ধন্যবাদ দিতে চাই।
“ভোটের প্রচারে খুবই সফল একটি অংশীদারিত্ব আমাদের মধ্যে তৈরি হয়েছে। নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে তার লক্ষ্য অর্জনে সহযোগিতা করতে আমাদের সেই অংশীদারিত্ব অব্যাহত থাকবে।”