মঙ্গলবারের এ নির্বাচনে এ ধরনের অন্যান্য অনেকগুলো অঙ্গরাজ্যেও তিনি ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন থেকে এগিয়ে রয়েছেন, তবে দুজনের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে কারণে এসব অঙ্গরাজ্যের ফলাফল সম্পর্কে কোনো পূর্বাভাস দেওয়া যাচ্ছে না।
এসব অঙ্গরাজ্যগুলোর মধ্যে ‘ব্যাটলগ্রাউন্ড’ হিসেবে পরিচিত ফ্লোরিডা ও নর্থ ক্যারোলাইনাও রয়েছে।
দুই প্রার্থীর এই হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের কারণে হোয়াইট হাউসের পথে কে এগিয়ে আছেন তা এখনই বলা যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে ইউএস ডলার ও পুঁজি বাজারের দরপতন হয়েছে।
ট্রাম্পের জয়ের সম্ভাবনায় মেক্সিকান পেসোর দরপতন হয়েছে, অপরদিকে সার্বভৌম বন্ড ও সোনার দর বেড়ে গেছে। ট্রাপ জিতলে অর্থনীতি ও বিশ্বের পরিস্থিতি অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পারে বলে উদ্বিগ্ন হয়ে আছেন বিনিয়োগকারীরা।
ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যের মধ্যে ৪৪টিতে ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। ‘ব্যাটলগ্রাউন্ড’ হিসেবে পরিচিত অঙ্গরাজ্যগুলোর মধ্যে ওহাইও ও নর্থ ক্যারোলাইনায় জয় পেয়েছেন ট্রাম্প, অপরদিকে কলরাডো ও ভার্জিনিয়ায় জয় পেয়েছেন হিলারি।
অন্য নয়টি ‘ব্যাটলগ্রাউন্ড’ অঙ্গরাজ্যের মধ্যে সাতটিতে এগিয়ে আছেন ট্রাম্প, দুটিতে এগিয়ে আছেন হিলার।
এই অঙ্গরাজ্যগুলোর ভোটের ফলাফলই নির্বাচনের ফলাফল নির্ধারণ করবে বলে ব্যাপকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
সিএনএন ও বিবিসির প্রকাশিত সর্বশেষ ফলাফল অনুযায়ী ইলেক্টোরাল কলেজে ১৯৭টি ভোট নিয়ে এগিয়ে আছেন হিলারি, অপরদিকে ১৮৭টি ভোটি নিয়ে ট্রাম্প খুব একটা পিছিয়ে নেই।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতে হলে এদের কোনো একজনকে ইলেক্টোরাল কলেজে ২৭০টি ভোট পেতে হবে, যা আগামী কয়েক ঘন্টার মধ্যেই পরিষ্কার হয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।