শুক্রবার ইরাকের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আইএস নেতা জিহাদকে দুর্বল হতে না দেওয়ার অঙ্গীকারের একদিন পরই জঙ্গি গোষ্ঠীটি এ পরাজয়ের মুখে পড়ল।
ইরাকের সামরিক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মসুলের কাছের মালাঈন, সামাহ, খাদরা, কারকুকলি, কুদস ও কারামার দখল নিয়েছে বিশেষ বাহিনী। অভিযানে অনেক আইএস যোদ্ধা হতাহত হয়েছে এবং সেখানকার ভবনগুলোতে ইরাকের পতাকা উড়ানো হয়েছে।
মাত্র একদিন আগে ইন্টারনেটে আইএস এর শীর্ষ নেতা আবু বকর আল বাগদাদি একটি অডিও বার্তা ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে বাগদাদিকে আইএস যোদ্ধাদের তুরস্ক দখলের অভিযান শুরুর আহ্বান জানাতে শোনা যায়।
ইরাকের এলিট কাউন্টার টেরোরিজম সার্ভিসের একজন কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, বিশেষ বাহিনী জঙ্গিদের বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযান পরিচালনা করেছে এবং মসুলের চারদিক তারা প্রায় ঘিরে ফেলেছে।
বিশেষ বাহিনীর একজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, সিটিএস বাহিনী টাইগ্রিস নদী ধরে সবদিক দিয়ে আইএসকে চেপে ধরার চেষ্টা করছে। মসুলের কেন্দ্রস্থল দিয়ে টাইগ্রিস নদী প্রবাহিত হয়েছে।
ইরাকের টেলিভিশনে প্রচারিত যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ধারণ করা ভিডিও ফুটেজে মসুলের পূর্বাঞ্চলে ধূসর ধোঁয়া উঠতে দেখা গেছে। ইরাকি সেনাবাহিনীর লেফ্টেন্যান্ট জেনারেল কাশিম জসিম নাজাল রয়টার্সকে বলেন, “আইএস যোদ্ধারা পালানোর পথ খুঁজছে।”
সোমবার নাগাদ বিশেষ বাহিনী মসুল শহরে প্রবেশের চেষ্টা করবে বলেও জানান তিনি।
তিন সপ্তাহ আগে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বিমান বাহিনীর সহায়তায় ইরাকের নিয়মিত সেনাবাহিনী ও বিশেষ বাহিনী, শিয়া মিলিশিয়া, কুর্দি পেশমের্গা যোদ্ধা এবং আরও কয়েকটি বাহিনীর যোদ্ধাদের সমন্বয়ে একটি বিশেষ বাহিনী আইএস-র দখল থেকে মসুল পুনরুদ্ধারের অভিযান শুরু করে।
দুই বছর আগে মসুলের একটি মসজিদ থেকেই ইসলামিক খেলাফত কায়েমের ঘোষণা দিয়েছিলেন আইএস নেতা বাগদাদি।