সোমবার প্রকাশিত বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও জরিপ সংস্থা ইপসোসের সর্বশেষ জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান দলীয় প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে পাঁচ পয়েন্টে এগিয়ে আছেন হিলারি।
২৬ থেকে ৩০ অক্টোবরের মধ্যে করা এই জরিপে সম্ভাব্য ভোটারদের মধ্যে ৪৪ শতাংশ জানিয়েছেন, তারা হিলারিকে ভোট দিতে পারেন; অপরদিকে ৩৯ শতাংশ ট্রাম্পকে সমর্থন করতে পারেন বলে জানিয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত সর্বশেষ জরিপের ফলাফলে ছয় পয়েন্টে এগিয়ে ছিলেন হিলারি।
তবে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের করা জরিপে দেখা গেছে হিলারির অগ্রগামিতা দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে। রিয়েল ক্লিয়ার পলিটিকস্ দেখিয়েছে, শুক্রবার হিলারি চার দশমিক ছয় পয়েন্টে এগিয়ে থাকলেও সোমবার তার অগ্রগামিতা হ্রাস পেয়ে দুই দশমিক পাঁচ পয়েন্টে এসে ঠেকেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সব জরিপের ফলাফলের গড় প্রকাশ করে থাকে রিয়েল ক্লিয়ার পলিটিকস্।
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআইয়ের পরিচালক জেমস কোমি এক চিঠিতে দেশটির কংগ্রেসকে জানিয়েছেন, হিলারির সঙ্গে সম্পর্ক থাকতে পারে এমন নতুন অনেকগুলো ইমেইল তদন্ত করে দেখছে তাদের সংস্থা। শুক্রবার এই চিঠির কথা প্রকাশ পায়।
এর পরপরই যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী পরিবেশের রং পাল্টানোর ইঙ্গিত পাওয়া যেতে থাকে। বিভিন্ন জরিপে হিলারির অগ্রগামিতা হ্রাস পেতে দেখা যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী থাকাকালে হিলারি ব্যক্তিগত ইমেইল সার্ভার ব্যবহার করে রাষ্ট্রীয় তথ্য আদান-প্রদান করেছিলেন। তার এই ব্যক্তিগত সার্ভার ব্যবহার ও কেমনভাবে তিনি রাষ্ট্রের গোপনীয় তথ্য নিয়ে কাজ করেছেন তা আগেই একবার তদন্ত করে দেখেছিল এফবিআই।
জুলাইয়ে ওই তদন্ত শেষে কোমি জানিয়েছিলেন, গোপনীয় তথ্য নিয়ে কাজ করার সময় হিলারি ও তার সহযোগীরা ‘অত্যন্ত অসতর্ক’ ছিলেন, তবে হিলারির বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ আনার মতো কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
এবার নির্বাচনের সপ্তাহখানেক আগে হিলারির বিরুদ্ধে নতুন তদন্তে ঘোষণা দিয়ে এফবিআই পরিচালক কোমি বিশেষ একটি দলের প্রতি পক্ষপাতিত্ব দেখিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতারা। এ পদক্ষেপের মাধ্যমে কোমি যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের নির্বাচন প্রভাবিত না করার আইন ভঙ্গ করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন সিনেটের ডেমোক্রেট দলীয় নেতা হ্যারি রেইড।