হিলারির ইমেইল সমস্যার পুনরুজ্জীবন

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মাত্র দশদিন আগে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআইয়ের এক ঘোষণায় বেকায়দায় পরেছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন।

>>রয়টার্স
Published : 29 Oct 2016, 07:32 AM
Updated : 29 Oct 2016, 12:39 PM

শুক্রবার এক ঘোষণায় এফবিআই জানিয়েছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে হিলারির ব্যক্তিগত ইমেইল পদ্ধতি ব্যবহার করার বিষয়ে করা তদন্তের অংশ হিসেবে আরো কিছু ইমেইল তদন্ত করে দেখছে তারা।

এফবিআইয়ের এ ঘোষণায় প্রেসিডেন্ট পদের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকা হিলারি ক্ষতির মুখ পড়তে পারেন।

যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের জ্যেষ্ঠ আইনপ্রণেতাদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এফবিআইয়ের পরিচালক জেমস কোমি জানিয়েছেন, নতুন ইমেইলগুলোর মধ্যে গোপনীয় কোনো তথ্য আছে কিনা তা নিশ্চিত করবে সংস্থাটি।

তবে এ তদন্তে তাদের ‘কতো সময় লাগবে’ তা তিনি জানানে না বলেও জানিয়েছেন। 

আগামী ৮ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। হিলারি ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রিপাবলিকান দলীয় ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন শেষ মূহুর্তের প্রচারণায় ব্যস্ত আছেন। এমন একটি সময়ে এফবিআই ঘোষণাটি এল।

শুক্রবার রাতে আইওয়ার ডেস মোইনেসে এক সংবাদ সম্মেলনে হিলারি, নতুন পাওয়া ইমেইলগুলোতে এফবিআই কী খুঁজছে তার বিস্তারিত প্রকাশ করার আর্জি জানিয়েছেন।

একজন নির্ভরযোগ্য ও সৎ প্রার্থীর ভাবমূর্তি গড়ে তুলে ভোটারদের আকৃষ্ট করতে হিলারিকে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। কয়েক মাসের টানা প্রচারণার পর জরিপগুলোতে ট্রাম্পকে পেছনে ফেলে হিলারির এগিয়ে যাওয়া ছবি পাওয়া যাচ্ছিল।

কিন্তু এখন ‘ব্যাটেল গ্রাউন্ড’ বলে পরিচিত রাজ্যগুলোতে শেষ প্রচারণাকালে এফবিআইয়ের তদন্তকে ঘিরে প্রশ্ন হিলারিকে তাড়া করে বেড়াবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

হিলারির বিরুদ্ধে এফবিআইয়ের ফের তদন্ত শুরু করার ঘোষণায় পরপরই যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ার বাজারে দরপতন শুরু হয়, পরে পরিস্থিতি আংশিক স্থিতিশীল হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী থাকাকালে নিউ ইয়র্কের বাড়ি থেকে নিজের ব্যক্তিগত সার্ভার ব্যবহার করে রাষ্ট্রীয় ইমেইল চালাচালি করেছিলেন হিলারি। অনঅনুমোদিত এই সার্ভার ব্যবহার নিয়ে হিলারির বিরুদ্ধে এক বছর ধরে তদন্ত করে এফবিআই তার কিছু ইমেইলে সরকারি কিছু গোপন তথ্য খুঁজে পায়।

রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য চালাচালিতে ব্যক্তিগত সার্ভার ব্যবহার করে হিলারি নিয়ম লঙ্ঘন করেছেন, জুলাইয়ে কোমি এ কথা বলার পরও হিলারির বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ দায়ের করা হবে না বলে জানিয়েছিলেন।