মেক্সিকোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চলতি বছরের মে মাসে গুজমানকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তর অনুমোদন করে। কিন্তু এই মাদক সম্রাটের আইনজীবীরা সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে জেলা আদালতে আপিল করেন।
নিম্ন আদালত ওই আপিল খারিজ করে দেওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে উচ্চ আদালতে যাওয়ার ঘোষণা দেন গুজমানের আইনজীবীরা।
গুজমানের একজন আইনজীবী আন্দ্রেস গ্রানাদোস বলেন, তিনি দেশের সর্বোচ্চ আদালতে শুনানির ব্যবস্থা করার চেষ্টা করবেন। তিনি মামলাটিকে অবশ্যই মানবাধিকার বিষয়ক আন্ত-আমেরিকান কমিশনেও নিয়ে যাবেন।
এরআগে হোয়াকিন গুজমানকে ২০১৭ সালের প্রথম দিকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে মেক্সিকোর একজন শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে গুজমানকে মেক্সিকোর উত্তরাঞ্চলীয় শহর লস মোচিস থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর ছয়মাস আগে তিনি দেশটির সর্বোচ্চ সুরক্ষিত বলে বিবেচিত কারাগার থেকে পালিয়ে যান। নিজের কারাকক্ষ থেকে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে তিনি পালিয়ে গিয়েছিলেন।
১৫ বছরেরও কম সময়ে মধ্যে দুইবার জেল ভেঙে পালিয়েছিলেন গুজমান। দেশটির প্রেসিডেন্ট এনরিক পিনা নিয়েতো গুজমানকে দ্রুত যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তরের অঙ্গীকার করেছিলেন।
সরকারি কর্মকর্তার ওই ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে গুজমানের আইনজীবী হোসে রিফুজিও রদ্রিগুইজ বলেছিলেন, অনেকগুলো আপিল নিষ্পত্তির বিষয় রয়েছে। এই সময় যথেষ্ঠ নয়। ২০১৭ সালের শুরুর দিকে তাকে শুধুমাত্র জোরপূর্বক জেল থেকে বের করে পাঠানো সম্ভব।
কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার জেল ভেঙ্গে পালানোর পর মাদকচক্র সিনালোয়া কার্টেলের মূল হোতা গুজমানকে জানুয়ারিতে পুনরায় আটক করা হয়।
তখন থেকেই শীর্ষ এই মাদক সম্রাটকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হয়।
গুজমানের মাদক চোরাচালানী চক্র সিনালোয়া প্রতিবেশী যুক্তরাষ্ট্রে বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ ঘোষিত মাদক পাচার করে।
গুজমান গেল কয়েক দশকে বিশ্বের সবচেয়ে সুগঠিত ও অন্যতম ক্ষমতাশালী অপরাধী চক্রের ‘বস’ হয়ে উঠেছিলেন, এমনকি ফোর্বস সাময়িকীতে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় কোটিপতিদের তালিকায় তার নামও উঠেছিল।