হামলার পঞ্চদশ বার্ষিকীতে বুশের সাবেক প্রেস সচিব অরি ফ্লাইচার ছয় পাতার একটি হাতে লেখা নোট প্রকাশ করেছেন।
ওই নোটে তিনি বুশ ও তার আশেপাশে থাকা কর্মকর্তাদের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া লিখেছিলেন।
সেখানে বলা হয়, ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে হামলার খবর শোনার পর ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনিকে ফোন করে বুশ বলেন, “আমরা ওই (অশ্লীল শব্দ)কে ধরতে যাচ্ছি। আমরা যুদ্ধের মধ্যে আছি।”
ফোন হাতে ধরেই তিনি কক্ষে থাকা সহকর্মীদের দিকে ঘুরে বলেন, “যখন আমি এর পেছনে থাকা ব্যক্তিদের খুঁজে পাব, তারা সারা জীবনের জন্য একজন প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমাকে অপছন্দ করতে যাচ্ছে। জড়িতরা এর মূল্য দিতে যাচ্ছে।”
ওই ঘটনার নয় দিন পর ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে’ যুদ্ধ ঘোষণা করেন বুশ।
যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ও দ্য আমেরিকান পিপুল-র যৌথ অধিবেশনে তিনি বলেন, “আল কায়দার উপর হামলার মাধ্যমে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমাদের যুদ্ধ শুরু হয়েছে, কিন্তু এ যুদ্ধ সেখানেই শেষ হবে না। বিশ্বের সব সন্ত্রাসী দলকে খুঁজে বের করে তাদের থামানো ও পরাজিত না করা পর্যন্ত এ যুদ্ধ থামবে না।”
যদিও পরে অনেকে বুশের এই পরিকল্পনার সমালোচনা করেছেন। কিন্তু টুইন টাওয়ার হামলায় প্রায় তিন হাজার মানুষের মৃত্যুর পর হতবুদ্ধি বিশ্ববাসী তখন বুশের এই পদক্ষেপে সাধুবাদ জানিয়েছিলেন।
দ্রুততার সঙ্গে লেখা ফ্লাইচারের ওই নোট রয়টার্স নিউজ এজেন্সিতে প্রকাশ পায়।
ধারণা করা হচ্ছে, ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে হামলার খবর শোনার পর আক্ষরিক অর্থে প্রেসিডেন্ট বুশের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ার এটাই প্রকৃত রেকর্ড।
মূল্যবান দলিল হিসেবে এটা এতদিন ব্যাংকের ভল্টে গচ্ছিত রেখেছিলেন ফ্লাইচার।