বিবিসি বলছে, ১৯৯০ এর দশকে মেলানিয়া একজন যৌনকর্মী ছিলেন বলে ওই পত্রিকা এবং ব্লগার দাবি করেছেন। এর বিরুদ্ধে মেলানিয়া ১৫ কোটি ডলারের মানহানি মামলা করতে যাচ্ছেন বলে তার আইনজীবী জানিয়েছেন।
ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়, মেলানিয়া নিউ ইয়র্কে খণ্ডকালীন যৌনসঙ্গী হিসেবে কাজ করতেন এবং সেই কাজের সূত্রেই স্বামী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তার জানাশোনা হয়ে থাকতে পারে।
এসব অভিযোগ ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা’ বলে দাবি করেছেন মেলানিয়ার আইনজীবী চার্লস হার্ডার।
এই ঘটনার পর ডেইলি মেইল এবং ব্লগার টার্পলি তাদের ওয়েবসাইট থেকে মেলানিয়াকে নিয়ে বিতর্কিত লেখাগুলো সরিয়ে নিয়েছে।
আইনজীবী হার্ডার এক বিবৃতিতে বলেন, “তারা একাধিক বিবৃতিতে মিসেস ট্রাম্প সম্পর্কে ১০০% ভুয়া কথা বলেছেন। এসব অপপ্রচার ও সম্মানহানিকর কথাবার্তার কারণে ট্রাম্প দম্পতি ব্যক্তিগত ও পেশাগত ক্ষেত্রে ভীষণভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।”
বিবৃতিতে হার্ডার আরো বলেন, “আসামীদের কর্মকাণ্ড মিসেস ট্রাম্পের জন্য অত্যন্ত গুরুতর, বিদ্বেষপ্রসূত এবং ক্ষতিকর যা টাকার অংকের হিসাবে ১৫ কোটি ডলার।”
আইনজীবী হার্ডার যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড রাজ্যের মন্টোগোমারি কাউন্টির সার্কিট কোর্টে এই অভিযোগ দায়ের করেছেন।
৪৬ বছর বয়সী মেলানিয়া স্লোভেনিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯০ এর দশকে তিনি মডেল হিসেবে কাজ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। ২০০৫ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তার বিয়ে হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ব্লগার ওয়েবস্টার টার্পলি তার লেখায় দাবি করেছিলেন, অতীতকে জনসম্মুখে আনার ক্ষেত্রে মিসেস ট্রাম্পের ভীতি রয়েছে।
আইনজীবী হার্ডার বলছেন, মেলানিয়া ১৯৯৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন।
১৯৯৮ সালে কিট ক্যাট ক্লাবের একটি পার্টিতে তার থেকে ২৪ বছরের বড় ট্রাম্পের সঙ্গে তার পরিচয় হয় বলে জানিয়েছে ‘দ্য গার্ডিয়ান’। ওই সময় ট্রাম্প তার দ্বিতীয় স্ত্রী মার্লা ম্যাপলেসের থেকে আলাদা বাস করতেন।
মেলানিয়া ট্রাম্পের তৃতীয় স্ত্রী। তাদের বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন হিলারি ও বিল ক্লিনটন।