নিখোঁজ বিমানের সন্ধানে গ্রিস ও মিশর

প্যারিস থেকে কায়রো যাওয়ার পথে ৬৬জন যাত্রী ও ক্রু সহ নিখোঁজ হওয়া মিশরের বিমানটির খোঁজ শুরু করেছে গ্রিস ও মিশর।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 May 2016, 11:06 AM
Updated : 19 May 2016, 11:25 AM

গ্রিসের সহায়তায় মিশরের নৌবাহিনী অনুসন্ধান এবং উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। কারপাথোস দ্বীপের ১৩০ নটিক্যাল মাইল উত্তর-পূর্বে চলছে উদ্ধার অভিযান। 

এছাড়া, গ্রিস একটি সি-১৩০ সামরিক বিমান এবং একটি আগাম সতর্কীকরণ বিমানও পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছে। একইসঙ্গে পাঠানো হয়েছে আরেকটি সি-১৩০ বিমান ও হেলিকপ্টার।

ইজিপ্টএয়ারের ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আদেল রয়টার্স বার্তা সংস্থাকে বলেছেন, “মিশরের বিমান বাহিনী থেকে অনুসন্ধানী এবং উদ্ধারকারী বিমান পাঠানো হয়েছে। যে জায়গায় বিমানের সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে ঠিক সেই জায়গাতেই অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে। অভিযান চলছে। তবে এখনও পর্যন্ত কিছু খুঁজে পাওয়া যায়নি।”

বিমানটির অনুসন্ধান অভিযানে ফ্রান্সও নৌকা ও বিমান পাঠিয়ে সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে।

মিশরের আকাশসীমা থেকে ১০ মাইল দূরে কায়রোর স্থানীয় সময় বুধবার রাত ২টা ৪৫ মিনিটে (বাংলেদেশ সময় বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা ৪৫) উড়োজাহাজটি রেডার থেকে অদৃশ্য হয়ে যায় বলে একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

বিষয়টি নিয়ে শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেছেন ফ্রান্স ও মিশরের প্রেসিডেন্টরা।

উড়োজাহাজটির আরোহীদের মধ্যে ৩০ জন মিশরীয়, ১৫ জন ফরাসি, একজন ব্রিটিশ, দুজন ইরাকী ছাড়াও কানাডা, কুয়েত, বেলজিয়াম, সৌদি আরব, আলজেরিয়া, সুদান, শাদ ও পর্তুগালের নাগরিক রয়েছেন।

মিশরের রাষ্ট্রীয় বিমান পরিবহন সংস্থার এয়ারবাস এ৩২০ উড়োজাহাজটি ফ্রান্সের শার্ল দা গল বিমানবন্দর ছাড়ে বুধবার স্থানীয় সময় রাত ১১টা ৯ মিনিটে। কায়রোর স্থানীয় সময় রাত ২টা ৫৫ মিনিটে ওই ফ্লাইটের অবতরণ করার কথা ছিল।

মিশরের প্রধানমন্ত্রী শেরিফ ইসমাইল নিখোঁজ বিমানের যাত্রীদের স্বজনদের সাথে কায়রো বিমানবন্দরে রয়েছেন। বিমানটির কি হয়েছে সে ব্যাপারে তিনি কোনও ধারণা প্রকাশ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। তিনি কেবল বলেছেন, “আমরা কোনও সম্ভাবনাই উড়িয়ে দিতে পারি না।”

একই কথা বলেছেন ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও। প্যারিসের শার্ল দ্য গল বিমানবন্দরে নিখোঁজ বিমানের স্বজনদের জন্য খোলা হয়েছে ক্রাইসিস সেন্টার।

গত মার্চে ইজিপ্টএয়ারের একটি উড়োজাহাজ ছিনতাই করে সাইপ্রাসে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই ছিনতাইকারী পরে ধরা দেন, জিম্মি যাত্রীরা সবাই অক্ষত অবস্থায় মুক্তি পান।

 এর আগে অক্টোবরে সিনাইয়ের শার্ম আল-শাইখ থেকে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবুর্গ যাওয়ার পথে একটি রুশ উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে ২২৪ আরোহীর সবাই নিহত হন। মস্কোর পক্ষ থেকে পরে বলা হয়, বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ওই বিমান বিধ্বস্ত করা হয়। আইএস জঙ্গিরা এর দায়ও স্বীকার করে।