মোস্যাক ফনসেকা নামে ওই ল ফার্ম থেকে এক কোটি দশ লাখ গোপন নথি ফাঁস হয়েছে, যাতে বিভিন্ন দেশের বর্তমান ও সাবেক রাষ্ট্রপ্রধানসহ বিশ্বের ধনী ও ক্ষমতাধররা কীভাবে কর ফাঁকি দিয়ে গোপন সম্পদের পাহাড় গড়েছেন সেই তথ্য বেরিয়ে আসছে।
জার্মান সংবাদপত্র সুইডয়চে সাইটং ওইসব তথ্য হাতে পেয়ে ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অফ ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টসের (আইসিআইজে) সঙ্গে বিনিময় করেছে।
গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নথিতে দেখা যায়, মেসি ও তার বাবা হোর্হে হোরাসি ২০১২ সালে মোস্যাক ফনসেকায় নিবন্ধিত ‘মেগা স্টার এন্টারপ্রাইজ’ নামে একটি কোম্পানির চূড়ান্ত সুবিধাভোগী মালিক।
দেশের বাইরে কোম্পানি খুলে তা পরিচালনা বেআইনি না হলেও স্বচ্ছতার অভাব থাকায় তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এফসি বার্সেলোনার এই খেলোয়াড় ও তার বাবার বিরুদ্ধে স্পেনে কর ফাঁকির মামলার বিচার চলছে।
গার্ডিয়ান বলছে, উরুগুয়ে ও বেলিজে কিছু নামকাওয়াস্তে প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করে বার্সেলোনার ফুটবল তারকার ইমেজ রাইটস বিক্রির মাধ্যমে কর ফাঁকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। তবে এই মামলায় মেগা স্টারের নাম উল্লেখ করা হয়নি।
তবে বাবা ও ছেলে এই অভিযোগ অস্বীকার করে দায় চাপান এক সাবেক আর্থিক উপদেষ্টার উপর।২০১৩ সালের অগাস্টে হোর্হে মেসি স্বেচ্ছায় ৫০ লাখ ইউরো জরিমানা পরিশোধ করেন।
গার্ডিয়ান বলেছে, মেগা স্টারের বিষয়ে জানতে ১২ দিন আগে মেসির যোগাযোগ করেও কোনো সাড়া মেলেনি।
তার বাবা আইসিআইজের কাছে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।