Published : 22 Mar 2016, 02:20 PM
রয়টার্স বলছে, বিমানবন্দরের বহির্গমন হলে বিস্ফোরণের আগে গুলি চালানো হয় এবং আরবি ভাষায় চিৎকার করার শব্দ শোনা যায় বলে বেলজীয় সংবাদ সংস্থার এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।
বিমানবন্দরের কর্তৃপক্ষ এক ট্যুইটারবার্তায় জানিয়েছে, “বিমানবন্দরের দিকে কেউ আসবেন না। এটি খালি করে ফেলা হচ্ছে। বিমানবন্দর এলাকা এড়িয়ে যান। সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।”
ব্রাসেলসের এই বিমানবন্দরটি বছরে ২ কোটি ৩০ লাখ যাত্রী ব্যবহার করে থাকেন।
মঙ্গলবার ব্রাসেলসের জাভেনতেম বিমানবন্দরে এ ঘটনায় অন্ততপক্ষে ১৩ জন নিহত হয়েছেন বলে স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাতে জানিয়েছে রয়টার্স।
তবে বিবিসির খবরে বলা হয়, বিস্ফোরণে হতাহতের বিষয়টি বেলজিয়াম সরকার নিশ্চিত করলেও কোনো সংখ্যা উল্লেখ করেনি।
প্যারিস হামলার মূল সন্দেহভাজন সালেহ আবদেসালামকে বেলজিয়ামের পুলিশ ব্রাসেলসে গ্রেপ্তার করার চার দিনের মাথায় এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল।
তবে বিস্ফোরণের কারণ এখনও স্পষ্ট নয় বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইয়নিয়নের কার্যালয়ের কাছে একটি মেট্রো স্টেশনেও বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে পোস্ট করা ছবিতে বিমানবন্দরের বহিরাগমন হল থেকে ধোঁয়া বের হতে এবং হলটির সব জানালাগুলোকে ভেঙেচুড়ে ছিন্নভিন্ন হয়ে থাকতে দেখা গেছে। অন্যান্য ছবিতে বহিরাগমন পথ থেকে যাত্রীদের দৌড়ে বের হওয়ার চেষ্টা করতে দেখা গেছে।
বিমানবন্দর থেকে চলাচলকারী ট্রেন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং বিমানবন্দরের দিকে আসা অন্যান্য সড়কগুলোতেও যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ঘটনাস্থলে থাকা স্কাই নিউজ টেলিভিশনের সাংবাদিক অ্যালেক্স রোজি জানিয়েছেন, তিনি দুটি খুব ‘বড় ধরনের’ বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন।
“ভবনটি নড়ছিল আমি টের পাচ্ছিলাম। প্রচুর ধুলা ও ধোঁয়াও ছিল। যেখান থেকে বিস্ফোরণের শব্দ এসেছে আমি সেদিকে এগিয়ে যাই এবং ভয়ার্ত ও হতবিহ্বল লোকজনকে বেড়িয়ে আসতে দেখি।
“সবাই এটিকে সন্ত্রাসী হামলা বলেই ধারণা করছিল, তবে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করেনি।”
অন্যান্য প্রতিবেদনে অন্ততপক্ষে একটি বিস্ফোরণ আমেরিকান এয়ারলাইন্সের চেক-ইন এলাকায় ঘটেছে বলে বলা হলেও তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।