মিয়ানমারের ঐতিহাসিক গণতান্ত্রিক নির্বাচনে জয়লাভের পর পার্টি প্রধান অং সান সু চিকে ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) নতুন সরকারের মন্ত্রিসভার তালিকায় স্থান দেওয়া হয়েছে।
Published : 22 Mar 2016, 01:14 PM
দুই সন্তান বিদেশি নাগরিক হওয়ায় মিয়ানমারের সংবিধানের ধারা অনুযায়ী দেশটির প্রেসিডেন্ট হতে পারেননি সু চি। তিনি মন্ত্রিসভার পদ গ্রহণ করবেন না এমন ধারণাই ব্যাপকভাবে করা হচ্ছিল।
কিন্তু মিয়ানমারের নতুন প্রেসিডেন্ট এনএলডি দলীয় থিন কিয়াও পার্লামেন্টে মন্ত্রী হিসেবে যে ১৮ জনের নাম প্রস্তাব করেছেন, তার মধ্যে সু চি-র নামও আছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
বিবিসির ইয়াঙ্গুন প্রতিনিধি জানিয়েছেন, সু চির অধীনে পররাষ্ট্র, জ্বালানি, শিক্ষা এবং প্রেসিডেন্ট দপ্তরের মন্ত্রণালয় থাকবে।
প্রস্তাবিত নতুন মন্ত্রিসভায় আর কোনো নারী সদস্য নেই বলে জানিয়েছে তিনি।
নতুন প্রেসিডেন্ট কিয়াও সু চি-র ঘনিষ্ঠ মিত্র। কিয়াও প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে সু চি বেশ কয়েকবার বলেছেন, নতুন প্রেসিডেন্ট ‘তার অধীনে’ থাকবে এবং সরকারি কোনো পদে না থেকেও তিনিই সরকার পরিচালনা করবেন।
প্রস্তাবিত মন্ত্রিসভার ঘোষণা বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছে। কারণ সরকারের বাইরে থেকেই সু চি সরকারকে নিয়ন্ত্রণ করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছিল।
মন্ত্রিসভার ১৮ সদস্যের মধ্যে ১৫ জন সু চির পছন্দে মনোনীত হয়েছেন। বাকি তিনজন সেনাবাহিনীর প্রধানের পছন্দে মনোনীত হয়েছেন।
মিয়ানমারের বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী সু চি মন্ত্রীর পদ গ্রহণ করলে তাকে পার্লামেন্টের সদস্য পদ ছাড়তে হবে এবং এনএলডির সব তৎপরতা থেকে দূরে থাকতে হবে।
চলতি সপ্তাহের পরবর্তী কোনো এক সময়ে প্রস্তাবিত মন্ত্রিসভার বিষয়ে পার্লামেন্টে ভোটাভুটি হবে।
গেল সপ্তাহে মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থিন কিয়াও বলেছেন, তার প্রেসিডেন্ট হওয়া ‘সু চির বিজয়’।
মিয়ানমারের দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্টে সামরিক বাহিনীর জন্য ২৫ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকলেও সু চির এনএলডি বড় ধরনের সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে।
এতে দলটির মনোনীত প্রার্থীরা সহজেই পার্লামেন্টের সমর্থন পেয়ে মন্ত্রিসভার সদস্য হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।