মালির রাজধানী বামাকোতে একটি হোটেলে অবস্থিত ইউরোপীয় ইউনিয়নের সামরিক প্রশিক্ষণ মিশনের সদরদপ্তরে হামলা চালিয়েছে বন্দুকধারীরা।
Published : 22 Mar 2016, 12:58 PM
সোমবার ভোরে চালানো এ হামলায় মিশনের কেউ হতাহত না হলেও একজন হামলাকারী নিহত হয়েছেন।
স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে ৬টার দিকে শুরু হওয়ার এ হামলার দায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী স্বীকার করেনি।
তবে মালি এবং প্রতিবেশী পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোতে কট্টর ইসলামপন্থি জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর হামলা ক্রমাগত বাড়ছে। এসব গোষ্ঠীর অনেকগুলোই আল কায়েদার অনুমোদনপ্রাপ্ত।
মালির অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তামন্ত্রী জানিয়েছেন, এক হামলাকারী নিহত ও দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
মালির নিরাপত্তা বাহিনীগুলোকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য রূপান্তরিত সদরদপ্তরটিতে ইইউ এর প্রায় ৬০০ সদস্য মোতায়েন আছে।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, বামাকোর নর্ড-সুদ হোটেল লক্ষ করে হামলাটি চালানো হয়।
তিনি বলেন, “হামলাকারীরা প্রবেশপথ দিয়ে জোর করে প্রবেশের চেষ্টা করলে প্রবেশপথে পাহারারত রক্ষীরা গুলি ছোঁড়েন, এতে এক হামলাকারী নিহত হন।”
আরেক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “আমরা কবরস্থানের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম তখন প্রথম গুলির শব্দ শুনি, এরপর দ্বিতীয়, তারপর তৃতীয় গুলির শব্দ পাই। এরপর কয়েক মিনিট বিরতি, তারপর থেকে একটানা গুলির শব্দ চলতেই থাকে।”
নিজেদের দাপ্তরিক ট্যুইট ফিডে হামলার কথা নিশ্চিত করেছে ইইউ মিশন।
এতে বলা হয়, “ইইউটিএম-মালি সদরদপ্তরে হামলা হয়েছে। হামলা চলাকালে ইইউটিএম-মালির কোনো সদস্য আঘাত পাননি।”
নর্ড-সুদ হোটেলের পরিচালনাকারী হোটেল গ্রুপ আজালাই হোটেলস এক ট্যুইটার পোস্টে জানিয়েছে, হামলা প্রতিহত করা হয়েছে এবং হোটেল ভবনের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
একটি ছবিতে বিশের বেশি বয়সী নিহত একব্যক্তিকে স্টাইলিশ জিন্স প্যান্ট, বাদামি রংয়ের শার্ট ও নাইকি কেডস পায়ে জমাট বাঁধা রক্তের ওপর চিৎ হয়ে পড়ে থাকতে দেখা গেছে, পাশে একটি কালাশনিকভ (একে-৪৭) রাইফেল পড়ে আছে।