শনিবার বেলজিয়াম ও ফরাসি তদন্তকারীদের তিনি এমন কথা জানিয়েছেন।
শুক্রবার বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসের মলেনবেক এলাকায় অভিযান চালিয়ে আব্দেস্লামকে গ্রেপ্তার করে বেলজীয় পুলিশ। প্যারিস হামলার পর চারমাস ধরে ব্যাপক খোঁজাখুঁজি শেষে পায়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গ্রেপ্তার হন ইউরোপের শীর্ষ এই ফেরারি।
“স্তাতে দে ফ্রাঁসে (স্টেডিয়াম) সে নিজেকে উড়িয়ে দিতে চেয়েছিল কিন্তু পিছিয়ে আসে,” একজন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে দেওয়া আব্দেস্লামের জবানবন্দির উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন ফরাসি তদন্তকারী দল প্রধান ফ্রাঁসোয়া মোলিন্স।
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার পর ২৬ বছর বয়সী ফরাসি নাগরিক আব্দেস্লামকে কড়া নিরাপত্তায় ব্রুজাস কারাগারে রাখা হয়।
প্যারিসের ওই ফুটবল স্টেডিয়ামসহ কয়েকটি বারে ও একটি কনসার্ট হলে ১৩ নভেম্বর আত্মঘাতী জঙ্গিদের চালানো ওই বোমা ও বন্দুক হামলায় ১৩০ জন নিহত হন।
আব্দেস্লামের আইনজীবী জানান, হামলা চলাকালে প্যারিসে অবস্থানের কথা স্বীকার করেছেন তার মক্কেল তবে বিস্তারিত কিছু জানাননি।
ব্রাসেলসে জন্ম নেওয়া ও বেড়ে ওঠা মরক্বোর অভিবাসী আব্দেস্লাম তদন্তকারীদের সঙ্গে সহযোগীতা করছেন জানিয়ে তার আইনজীবী বলেন, “ফ্রান্সের কাছে হস্তান্তরের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই করে যাবেন উনি।”
তার প্রচেষ্টা স্বার্থক হবে না বলেই ধারণা আইন বিশেষজ্ঞদের, তবে এতে তিনি কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাস সময় পেতে পারেন।
বেলজীয় সরকারি আইনজীবীরা আব্দেস্লাম ও তার সঙ্গে গ্রেপ্তার মনির আহমেদ আলাজের বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাসী হত্যাকাণ্ডে অংশগ্রহণের’ অভিযোগ এনেছেন।
আব্দেস্লামের বড় ভাই ব্রাহিম প্যারিস হামলার সময় আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিজেকে উড়িয়ে দিয়েছেন। ছোট ভাইয়েরও আত্মঘাতী হামলায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তিনি নিজের আত্মঘাতী হামলায় ব্যবহৃত পোশাক প্যারিসের রাস্তায় ফেলে পালিয়ে যান।
পরে পুলিশ রাস্তা থেকে ওই ‘সুসাইড ভেস্ট’টি উদ্ধার করে।