মঙ্গলবার একথাই জানিয়েছে ওই দুটি দেশে আইএস এর সঙ্গে লড়াই করে যাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনী। এ জোটে রয়েছে ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জর্ডানসহ নানা দেশ। তারা আইএস এর অবস্থানগুলোতে বোমা হামলা চালিয়ে আসছে।
জোটের মুখপাত্র যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর কর্নেল স্টিভ ওয়ারেন বাগদাদে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, “আমাদের বিশ্বাস ইরাকে আইএস প্রায় ৪০ শতাংশ এলাকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে। আর সিরিয়ায়, ঠিক করে বলা কঠিন হলেও, আমাদের ধারণা তারা প্রায় ২০ শতাংশ এলাকার নিয়ন্ত্রণ খুইয়েছে।”
“সামগ্রিক হিসাবে ইরাক এবং সিরিয়া মিলে আইএস একসময় তাদের দখলে থাকা এলাকার ৩০ শতাংশের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে।”
২০১৪ সালে ইরাকের এক-তৃতীয়াংশ দখল করে নেয় আইএস। এর মধ্যে আছে উত্তরের সবচেয়ে বড় শহর মসুল এবং রাজধানী বাগদাদের আশেপাশের এলাকাগুলো।
যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনীর সহায়তায় ইরাকি ও কুর্দি সশস্ত্র বাহিনী এবং ইরান-সমর্থিত শিয়া মিলিশিয়ারা পাল্টা লড়াই চালিয়ে তখন থেকেই আইএস কে কয়েকটি শহর থেকে হটিয়ে দিয়েছে। গতমাসে তিকরিত এবং বাগদাদের উত্তরাঞ্চলসহ পশ্চিমে রামাদি শহর আইএস দখলমুক্ত হয়েছে।
সিরিয়ায় আইএস প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ ও তার শাসনের বিরোধী অন্যান্য বিদ্রোহী দলগুলোর সঙ্গে লড়ছে। তাদের ওপর বিমান হামলা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বাহিনী এবং রাশিয়াও। ইরাকের প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল আবাদি গত মাসেই বলেছেন এ বছর অর্থাৎ, ২০১৬ সালেই আইএস এর বিরুদ্ধে ‘চূড়ান্ত জয়’ অর্জন করা হবে।