‘শক্তিশালী এল নিনো’র কারণে উদ্বেগ বাড়ছে

শেষ হতে যাওয়া চলতি বছরটিকে সবচেয়ে উষ্ণতম বছরে পরিণত করতে ভূমিকা রেখেছে এল নিনো। আসছে বছরটির উপরেও আবহাওয়া প্রপঞ্চটির প্রভাব বজায় থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।‍

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Dec 2015, 09:39 AM
Updated : 30 Dec 2015, 10:22 AM

বিবিসি বলছে, রেকর্ডের তালিকায় সবচেয়ে শক্তিশালী এই এল নিনোর কারণে ২০১৬ সালটিতে ক্ষুধা ও রোগবালাইতে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বাড়বে বলে জানিয়েছে ত্রাণ সংস্থাগুলো।

এর কারণে বিশ্বের কোনো এলাকায় প্রচণ্ড খরার সৃষ্টি হতে পারে। অপরদিকে অন্যান্য এলাকা প্রবল বন্যার কবলে পড়তে পারে।  

যেসব অঞ্চলে সবচেয়ে মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে তার মধ্যে আফ্রিকা অন্যতম। ফেব্রুয়ারিতেই মহাদেশটিতে খাদ্য সংকট সর্বোচ্চ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।  

পরবর্তী ছয়মাস ধরে ক্যারিবিয়া, মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলে এর কারণে ভুগতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। 

পর্যায়কালীন এই আবহাওয়া প্রপঞ্চটি চলার সময় বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়ার লক্ষণ দেখা দেয় এবং আবহাওয়ার নিয়মিত ধরনগুলোতে পরিবর্তন দেখা দেয়। চলতি এল নিনোর কারণেই ২০১৫ বছরটি সবচেয়ে উষ্ণ বছরের রেকর্ড করেছে। 

রিডিং বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. নিক ক্লিঙ্গম্যান বলেন, “কিছু হিসাবমতে এটি ইতোমধ্যেই সবেচেয়ে শক্তিশালী এল নিনোর রেকর্ড করেছে, এটি নির্ভর করে কীভাবে আপনি এটিকে হিসাব করছেন।

“ক্রান্তীয় অঞ্চলের অনেক দেশে বৃষ্টিপাত ২০ থেকে ৩০ শতাংশ হ্রাস পেতে দেখছি আমরা। তীব্র খরার মোকাবিলা করেছে ইন্দোনেশিয়া, ভারতে বর্ষা মওসুম স্বাভাবিকের চেয়ে ১৫ শতাংশ কম ছিল এবং ব্রাজিল ও অস্ট্রেলিয়ার মওসুম সংক্ষিপ্ত হবে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।” 

বন্যা ও খরা অব্যাহত থাকায় এর সামগ্রিক প্রভাব কতোটা ব্যাপক হতে পারে, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছে ত্রাণ সংস্থাগুলো। এতে আফ্রিকাজুড়ে প্রায় তিন কোটি ১০ লাখ মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে পড়বে বলা হয়েছে। 

এক বিবৃতিতে যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন মন্ত্রী নিক হার্ড বলেন, “এই বিশেষ শক্তিশালী এল নিনোর বিরুদ্ধে আমাদের এখনই ভূমিকা রাখা দরকার, এতে ব্যর্থ হলে বিশ্বব্যাপী ঝুঁকির মুখে থাকা মানুষদের রক্ষা করতে আমরা ব্যর্থ হব।”

২০১৬ সালেও অব্যাহত থাকা এল নিনোর চাপের সঙ্গে সিরিয়া, ইয়েমেন ও দক্ষিণ সুদানের যুদ্ধের চাপ যুক্ত হয়ে পরিস্থিতি নাজুক হয়ে উঠতে পারে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ত্রাণ সংস্থা অক্সফাম।