বুধবারের এই ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে সিডনির উপকূলের আশপাশের এলাকার গাছপালা ও বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে গেছে, বাড়ির ছাদ উড়ে গেছে, দেওয়াল ধসে পড়েছে ও আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে।
দেশটির আবহাওয়া ব্যুরো (বিওএম) বুধবার দুপুরের দিকে বিরল একটি ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা প্রচার করে।
বিপজ্জনক ওই ঘূর্ণিঝড়টি তখন সিডনির দক্ষিণে সৈকত ধরে এগিয়ে আসছিল।
ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত বাড়ি। ছবি: রয়টার্স
এই সতর্কতা প্রচারের পর কিছু আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট সিডনি থেকে মুখ ঘুরিয়ে অন্যান্য শহরের দিকে চলে যায়।
সিডনির ক্রোনুল্লা শহরতলীর কুরনেলের শিল্পপার্ক এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বার্তা সংস্থা রয়টার্সের একজন সাংবাদিক। এর কাছেই সিডনি বিমানবন্দরের অবস্থান।
শিল্পপার্কের কর্মী ৪৮ বছর বয়সী সুলিভান বলেন, “কোনো সতর্ক সঙ্কেতই পাইনি আমরা। হঠাৎ আকাশ কালো হয়ে এই তাণ্ডব ঘটে গেল।”
“বাতাসের ভয়ানক ঝাপটা ও প্রবল বেগের সঙ্গে বাড়ির চাল উড়ে যাওয়ার শব্দ যে কেউ শুনতে পেত। উড়ে আসা বস্তুর আঘাতে সব ধরনের গাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।”
ঘূর্ণিঝড় চলাকালে কুর্নেল এলাকায় বাতাসের সর্বোচ্চ বেগ ঘণ্টায় ২১৩ কিলোমিটার রেকর্ড করা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ে এভাবেই অসংখ্য গাছ ভেঙে পড়ে। ছবি: রয়টার্স
সিডনির পূর্বাঞ্চলের শহরতলীতে একটি বিপণীবিতানের ছাদ ধসে একজন নারী গুরুতর আহত হয়েছেন।
শহরটির দক্ষিণাংশের প্রায় ছয় হাজার বাড়ি বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছে।
চলতি বছরের প্রথম দিকে জাতিসংঘের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, অস্ট্রেলিয়া এল নিনোর মোকাবিলা করছে এবং চলতি বছর তা তীব্রতম হবে। এতে দেশটিতে বন্যা, খরা ও প্রচণ্ড ঝড় হবে বলে জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।