নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় ছয়টি শহরে শিয়া মুসলিম সম্প্রদায়ের শত শত মানুষ সেনা অভিযানের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন।
Published : 16 Dec 2015, 01:12 PM
সেনা অভিযানে শিয়া সম্প্রদায়ের শত শত মানুষ নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বিবিসি বলছে, কাদুনা শহরে অনেকেই দোকানপাট বন্ধ করে দিয়েছেন।
সেনা অভিযানের এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহারির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন।
নাইজেরিয়ার সেনাবাহিনী অভিযোগ করেছে, ইরানপন্থি এই সম্প্রদায়ের একটি গোষ্ঠী সেনাপ্রধান জেনারেল টুকুর বুরাতাইকে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে।
ইসলামিক মুভমেন্ট অব নাইজেরিয়া (আইএমএন) নামে পরিচিত গোষ্ঠীটি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
ইরানি গণমাধ্যমের বরাতে জানা গেছে, টেলিফোন আলাপে প্রেসিডেন্ট রুহানি নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বুহারির কাছে আইএমএন নেতা শেখ ইব্রাহিম জাকজাকির বিষয়ে জানতে চান।
উত্তরাঞ্চলীয় জারিয়া শহরে জাকজাকির বাড়িতে সেনা অভিযান চালানো হয়েছিল।
আইএমএন অভিযোগ করছে, অভিযানে সেনা বাহিনী তাদের শত শত সদস্যকে হত্যা করেছে, একটি উপাসনালয় ও জাকজাকির বাসভবন গুঁড়িয়ে দিয়েছে।
একজন নেতৃস্থানীয় মানবাধিকার আন্দোলনের নেতা চিদি ওদিনকালো এই অভিযোগ সমর্থন করে প্রেসিডেন্ট বুহারির প্রতি বিষয়টির একটি নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, “পাথর ছুঁড়ে প্রতিবাদরতদের বিরুদ্ধে একটি পেশাদার সেনাবাহিনী কীভাবে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে জবাব দিতে পারে?”
নাইজেরিয়ার সেনাবাহিনী নিহতের কোনো পরিসংখ্যান জানায়নি। তবে শেখ জাকজাকির স্ত্রী জিনাত ইব্রাহিমকে হত্যা করা হয়েছে বলে যে অভিযোগ আইএমএন করেছে তা প্রত্যাখ্যান করেছে সেনা বাহিনী।
সোমবার কাদুনা ডিভিশনের সেনা প্রধান মেজর জেনারেল ওয়েবাদো জানিয়েছেন, জিনাত সেনা হেফাজতে রয়েছেন।
তবে জাকজাকি ও জিনাতের ছেলে সাইয়িদ ইব্রাহিম জাকজাকি নিহত হয়েছেন কিনা এ ব্যাপারে ওয়েবাদো কিছু বলেননি।
গেল বছর জাকজাকির অপর তিন ছেলে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সেনা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হন।