অস্ট্রেলিয়ার এবিসি নিউজের খবরে বলা হয়, শুক্রবার স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে গোলাগুলির এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ কমিশনার এন্ড্রু শিপিওনিকে উদ্ধৃত করে পত্রিকাটি লিখেছে, অজ্ঞাতপরিচয় পরিচয় বন্দুকধারী পুলিশের ওই কর্মীকে গুলি করে বেরিয়ে যাওয়ার সময় অন্য পুলিশ সদস্যদের দিকে গুলি ছুড়তে থাকেন। জবাবে কয়েকজন পুলিশ কনস্টেবল পাল্টা গুলি ছুড়লে হামলাকারীও নিহত হয়।
“আমি এ ঘটনার কিছু ভিডিও দেখেছি। এটি একটি বর্বর হত্যাকাণ্ড,” বলেন শিপিওনি।
গোলাগুলির পরপরই পুলিশ ওই এলাকা ঘিরে ফেলে এবং হেলিকপ্টারে করে ওই এলাকায় টহল শুরু হয়।
গতবছর অস্ট্রেলিয়ায় ইসলামী জঙ্গিবাদীদের মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার শঙ্কার মধ্যে পুলিশের পক্ষ থেকে সতর্কতা জারি করা হয়।
গত ডিসেম্বরে সিডনির একটি ক্যাফেতে প্রায় ১৭ ঘণ্টার জিম্মি সঙ্কটের অবসান ঘটে পুলিশের রক্তাক্ত অভিযানের মধ্য দিয়ে।
বাংলাদেশে ‘অস্ট্রেলিয়ার স্বার্থের’ ওপর জঙ্গি হামলার হুমকির কথা বলে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড তাদের দলের নির্ধারিত ঢাকা সফর স্থগিত করার পর ২৪ ঘণ্টা পার না হতেই খোদ সিডনিতে এই হামলার ঘটনা ঘটল।
এ ঘটনার সঙ্গে কোনো জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কি না, সে বিষয়ে পুলিশের কোনো ভাষ্য তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি। তবে এবিসি নিউজ লিখেছে, এর সঙ্গে জঙ্গিবাদের কোনো যোগাযোগ নেই বলে তারা মনে করছে।
“আমি বাসায় কাজ করছিলাম। প্রথমে একটি গুলির শব্দ পেয়ে ভাবলাম টায়ার পাংচার হয়েছে। এরপর আরও দুটো গুলির আওয়াজ হল।”
পুলিশ কমিশনার এন্ড্রু শিপিওনি বলেন, “হামলাকারীর পরিচয় এখনও আমরা জানতে পারিনি। যতক্ষণ আমরা তার পরিচয় জানতে না পারছি, ততক্ষণ এর মোটিভ নিয়ে আমরা কিছু বলতে চাই না।”
রাজ সোধি নামের আরেক স্থানীয় বাসিন্দাকে উদ্ধৃত করে এবিসি নিউজ লিখেছে, তিনিও বেশ কয়েকটি গুলির শব্দ শুনেছেন।
“তখন আমি বুঝতে পারিনি আসলে কী হচ্ছে। প্রথমে ভেবেছিলাম, কাছের একটি নির্মাণ সাইটে কিছু একটা হচ্ছে। কিন্তু আধা মিনিট না পেরোতেই আরও তিন-চারটা গুলির শব্দ পেলাম।”
রাজ সোধি বলেন, এ ঘটনায় আতঙ্ক সৃষ্টি হওয়া স্বাভাবিক, কেননা ওই সময়টাতেই মানুষ কাজ শেষে ঘরে ফেরে।
স্থানীয় রিয়েল এস্টেট এজেন্ট এডউইন আলমেইডা নিজের অফিস থেকে মোবাইল ফোনে ধারণ করা একটি ভিডিও ফেইসবুকে পোস্ট করেছেন।
তাকে উদ্ধৃত করে সিডনি মর্নিং হেরাল্ড লিখেছে, গুলির শব্দের পর কালো পোশাকধারী এক ব্যক্তিকে পুলিশ দপ্তরের বাইরে অস্ত্র উঁচিয়ে এগোতে দেখা যায়। এ দৃশ্য দেখে আতঙ্কিত লোকজন আশেপাশের অফিসগুলোতে ঢুকে পড়ে। এরপর আবার গুলি শুরু হয়।