তবে তার আগেই বন্দুকধারীর গুলিতে মারাত্মক আহত হয় বিদ্যালয়টির এক ছাত্র। হাসপাতালে ভর্তি ওই ছাত্রের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে বিবিসি আনলাইন।
বৃহস্পতিবার ক্যালিফোর্নিয়ার মধ্যাঞ্চলের একটি ছোট শহরে অবস্থিত ট্রাফ্ট ইউনিয়ন উচ্চবিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
মারাত্মক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা এড়াতে পারায় ওই শিক্ষকের প্রশংসা করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই বন্দুকধারীর কাছে অনেক মানুষকে হত্যা করার মতো যথেষ্ট গুলির মজুদ ছিল।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার কিছুক্ষণ পর থেকে ঘটনা শুরু হয়। বিদ্যালয়েরই একি বহিষ্কৃত ছাত্র প্রচুর গুলিসহ একটি শটগান নিয়ে বিদ্যালয়ে এসে হাজির হয়।
স্কুলের ছাত্র ও কর্মীরা পুলিশকে ফোন করে, কিন্তু পুলিশ আসার আগেই বিদ্যালয়ের সায়েন্স ব্লকের দুই ছাত্রকে গুলি করে ওই বন্দুকধারী। একজনের গায়ে গুলি লাগে আর অপরটি ফস্কে যায়।
এই সময় ঘটনাস্থলে ওই শিক্ষক এসে হাজির হন।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, তিনি ও বিদ্যালয়ের একজন কর্মকর্তা ওই ক্লাসে প্রবেশ করেন। এ পর্যায়ে শিক্ষক বন্দুকধারীকে ধমক দিয়ে বলেন, তার ক্লাসে কোনো গুলি করা চলবে না। এতে বন্দুকধারী অস্ত্র নামিয়ে রাখলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
কের্ন কাউন্টির শেরিফ ডনি ইয়ংব্লাড বলেন, “শটগানটি নামিয়ে রাখার জন্য তার সঙ্গে কথা বলে তারা।বন্দুকধারী এ সময় শিক্ষককে বলে, ‘আমি আপনাকে গুলি করতে চাই না।’ কাকে গুলি করতে চায় তার নামও বলে।”
“গুলির মুখে ছাত্রদের ফেলে রেখে তারা সহজেই পালাতে পারতেন।কিন্তু তারা তা করেননি। তাদের এই বীরত্ব ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়,” বলেন তিনি।
বিদ্যালয়ের অন্যান্য ছাত্রছাত্রীর অভিভাবকরা জানিয়েছেন, এই বন্দুকধারীকে গত বছর স্কুলটি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।
মাত্র চার সপ্তাহ আগেই যুক্তরাষ্ট্রের কনেকটিকাট রাজ্যের স্যান্ডিহুক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক নির্বিচার গুলিবর্ষণের ঘটনায় বন্দুকধারীসহ ২৭ জন নিহত হয়েছিল। ওই ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।