বিবিসি জানিয়েছে, যে পথে ডোরিয়ান এগিয়ে গেছে সেখানে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও বিশাল এলাকা পানিতে তলিয়ে আছে বলে স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া ছবিতে দেখা গেছে।
এই এলাকাগুলোর মধ্যে গ্রান্ড বাহামা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং আবাকো দ্বীপের মার্শ হারবার শহরও রয়েছে।
ডোরিয়ান মঙ্গলবার দুর্বল হয়ে দুই মাত্রার হারিকেনে পরিণত হয়েছে, কিন্তু এর প্রভাবে উত্তরপশ্চিম দ্বীপগুলোতে ভারী বৃষ্টিপাত, প্রবল বাতাস ও জলোচ্ছ্বাস অব্যাহত রয়েছে।
কতোটা বিপর্যয় ঘটে গেছে মঙ্গলবার তা পরিষ্কার হচ্ছিল। এ পরিস্থিতিতে ত্রাণ কর্মকর্তারা সেখানে ঘটে যাওয়া মানবিক সঙ্কটের পুরো চিত্র তুলে ধরার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন।
এ দিন বাহামাসের প্রধানমন্ত্রী হুবার্ট মিনিস মৃতের সংখ্যা সাত জন বলে উল্লেখ করেছেন।
“মার্শ হারবার ভুগেছে, আমার ধারণা, সেখানে ৬০ শতাংশেরও বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যাকে আমরা মাড বলে চিনি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।”
গ্রেট আবাকোর কুপার্স টাউনের কাছে একটি এলাকা যেটি বন্যার কারণে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে, সেখানে লোকজনকে সাহায্যের জন্য বিভিন্ন জিনিস নেড়ে দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করতে দেখেছেন বলে মিনিস জানিয়েছেন।
“সেখানে প্রায় ৩০ জনের মতো লোক আটকা পড়েছে এবং তাদের জীবন রক্ষায় হলুদ পতাকা, চাদর ও শার্ট নেড়ে আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছিল,” বলেছেন তিনি।
টুইটারে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, জলোচ্ছ্বাসের পানি একটি দ্বিতল বাড়ি ছাপিয়ে উপরে উঠে যাচ্ছে, ওই বাড়ির সোফা ও অন্যান্য আসবাবপত্র পানির সঙ্গে ভেসে ছাদের দিকে উঠে যাচ্ছে।
আরেকটি ভিডিওতে একটি বাড়ির বাসিন্দাদের এক ঘর থেকে আরেক ঘরে সাঁতরে যেতে দেখা গেছে।
গ্রান্ড বাহামা দ্বীপ ও এর প্রধান শহর ফ্রিপোর্টের ক্ষয়ক্ষতির চিত্র এখনো পরিষ্কার হয়নি। আবহাওয়া পরিস্থিতির কারণে ত্রাণ সংস্থাগুলো সেখানে যেতে পারেনি বলে মিনিস জানিয়েছেন।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে ঘণ্টায় একটানা ১৭৫ কিলোমিটার বাতাসের বেগ নিয়ে ডোরিয়ান নয় কিলোমিটার বেগে উত্তরপশ্চিম দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল এবং ওই সময় হারিকেনটি ফ্লোরিডার কেপ কেনাভেরাল থেকে ১৭০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থান করছিল।
হারিকেনটির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলজুড়ে জারি করা সতর্কর্তা বজায় রাখা হয়েছে।