স্টারলাইনার পৃথিবীতে ফিরে আসার জন্য প্রস্তুত, একবার এ নিশ্চয়তা পেলেই নভোচারীদের ফিরতি যাত্রার তারিখ জানাবে বোয়িং ও নাসা।
Published : 03 Aug 2024, 03:33 PM
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে আটকে থাকা রকেট স্টারলাইনারের ফিরতি যাত্রায় বিলম্ব হওয়ায় আরও সাড়ে ১২ কোটি ডলারের লোকসান গোনার তথ্য দিয়েছে বোয়িং।
মার্কিন নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘সিকিউরিটিস অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)’র কাছে জমা দেওয়া এক নথিতে কোম্পানি এ লোকসানের পরিমাণ উল্লেখ করেছে বলে উঠে এসেছে মহাকাশ প্রযুক্তি সাইট স্পেসনিউজের প্রতিবেদনে। আর এতে কোম্পানির দ্বিতীয় প্রান্তিকের আয়ের হিসাবও ছিল।
২০২৩ সালে এ ‘ক্রু ফ্লাইট টেস্ট’ মিশন ‘প্রাথমিকভাবে বিলম্বিত হওয়ার ফলে’ এরইমধ্যে কোম্পানিটি ২৮ কোটি ৮০ লাখ ডলারের লোকসান গুনেছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে প্রযুক্তি সাইট এনগ্যাজেট।
স্টারলাইনারের প্রথম যাত্রীবাহী মিশন পরিচালিত হয়েছিল এ বছরের জুনে, যেখানে রকেটে চড়ে মহাকাশ স্টেশনে পাড়ি জমান নাসার দুই নভোচারী বুচ উইলমোর ও সুনিতা উইলিয়ামস। আর আইএসএস-এ কেবল আট দিন সময় কাটিয়ে নভোচারীদের নিয়ে রকেটটির পৃথিবীতে ফিরে আসার কথা থাকলেও এর হার্ডওয়্যারজনিত সমস্যায় তা পিছিয়ে যায়।
মহাকাশ স্টেশনে যাওয়ার সময় স্টারলাইনারের থ্রাস্টারে ঠিক কী সমস্যা দেখা দিয়েছে, তা খুঁজে পেতে বেশ কিছু পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হয় কোম্পানিকে। এর আগে থ্রাস্টারের ফুটো দিয়ে হিলিয়াম গ্যাস বের হয়ে যাওয়ার কারণেও রকেটের উৎক্ষেপণ কয়েকদিন পেছাতে হয়েছিল শীর্ষ যাত্রীবাহী ও সামরিক এয়ারলাইনার নির্মাতা এ কোম্পানিকে।
যাত্রীবাহী দুই প্লেন ৭৩৭ ম্যাক্স ও ৭৮৭ ড্রিমলাইনার নিয়ে এরইমধ্যে বিপদের মধ্যে আছে কোম্পানিটি। উৎপাদনে নিরাপত্তা সমস্যার কারণে মার্কিন এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ রোয়িংকে প্লেনের উৎপাদন সংখ্যা তার সক্ষমতার এক ভগ্নাংশে নামিয়ে আনতে বাধ্য করেছে। এর বড় প্রভাব পড়েছে কোম্পানির আয় ও উড়োজাহাজ বিক্রির ওপর। এরইমধ্যে এই ক্ষতির খবর এল।
জুন থেকেই রকেটটির ওপর বেশ কিছু পরীক্ষা করছিল কোম্পানিটি। ২৭ জুলাই রকেটকে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার প্রস্তুতি হিসেবে এর দুই নভোচারী উইলমোর ও উইলিয়ামস রকেটের ‘রিএকশন কন্ট্রোল সিস্টেম জেট’-এ ‘হট ফায়ার’ নামের একটি পরীক্ষা সম্পন্ন করেন যাতে এর ফুটো দিয়ে হিলিয়াম বের হওয়ার মাত্রা সহনশীল পর্যায়ে থাকে।
নাসা বলছে, পরীক্ষার বিভিন্ন ফলাফল নিয়ে এখনও পর্যবেক্ষণ চলছে। আর স্টারলাইনার পৃথিবীতে ফিরে আসার জন্য প্রস্তুত, একবার এ নিশ্চয়তা পেলেই নভোচারীদের ফিরতি যাত্রার তারিখ জানাবে বোয়িং ও মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটি।