“কারোরই যুক্তরাজ্যে যাওয়া উচিৎ নয়। কারণ, তারা সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করা মানুষদের জেলে পুরতে কারাদণ্ড পাওয়া শিশু নিপীড়কদের জেল থেকে ছেড়ে দিচ্ছে।”
Published : 28 Sep 2024, 01:40 PM
এক সরকারি বিনিয়োগ সম্মেলনে আমন্ত্রণ না পাওয়ার খবরে যুক্তরাজ্যের ওপর ক্ষোভ ঝেড়েছেন মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক।
যুক্তরাজ্যের সহিংস দাঙ্গা নিয়ে নিজস্ব সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ গত মাসে পোস্ট করেছিলেন মাস্ক। এর পরই বিবিসি’র প্রতিবেদনে উঠে এল আগামী মাসে অনুষ্ঠিতব্য সম্মেলনে দেশটি মাস্ককে আমন্ত্রণ জানায়নি।
এর জবাবে মাস্ক তার পোস্টে লেখেন, “আমি মনে করি, কারোরই যুক্তরাজ্যে যাওয়া উচিৎ নয়।”
ওই একই পোস্টে এর ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তিনি। কারণ “তারা সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করা মানুষদের জেলে পুরতে আদালতে কারাদণ্ড পাওয়া শিশুনিপীড়কদের জেল থেকে ছেড়ে দিচ্ছে।”
তার এ মন্তব্যের যোগসূত্র রয়েছে যুক্তরাজ্য সরকারের আগের এক কারামুক্তি কর্মসূচীর সঙ্গে, যেখানে এ মাসের শুরুতে এক হাজার সাতশ জনের বেশি কয়েদীকে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম স্কাই নিউজ বলছে, এটি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর একটি উদ্যোগ ছিল যাতে কারাগারে অতিরিক্ত কয়েদীর চাপ কমিয়ে আনা যায়।
তবে, যৌন নিপীড়নের দায়ে সাজা পাওয়া কয়েদীরা এ কর্মসূচীর আওতাধীন ছিল না।
অগাস্টে যুক্তরাজ্যে দাঙ্গা চলাকালীন এক্স-এ সিরিজ পোস্ট করতে শুরু করেন প্রায় ২০ কোটি ফলোয়ার থাকা মাস্ক। এর মধ্যে এক পোস্টে তিনি দাবি করেন, যুক্তরাজ্যে গৃহযুদ্ধ ‘অনিবার্য’।
এর পরপরই যুক্তরাজ্য সরকার ও অন্যদের তীব্র নিন্দার মুখে পড়েন মাস্ক। এমনকি সে সময় প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারের প্রতিনিধি দল বলেছিল, এই ধরনের মন্তব্যের ‘কোনো ব্যাখ্যাই থাকতে পারে না’।
ওই দাঙ্গায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে এক হাজারের বেশি মানুষ গ্রেপ্তার হন যুক্তরাজ্যে। এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বর্ণবৈষম্য উস্কে দেওয়ার অভিযোগেও কেউ কেউ কারাভোগ করেন।
অক্টোবরে অনুষ্ঠিতব্য সম্মেলনটি বিনিয়োগকারীদেরকে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতির প্রতি আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে পরিকল্পনা করা, যেখানে গোটা বিশ্বের প্রযুক্তি ও বাণিজ্য খাতের শীর্ষ ব্যক্তিরা আমন্ত্রণ পেয়েছেন।
মাস্ককে সর্বশেষ লন্ডনে দেখা গিয়েছিল ২০২৩ সালের নভেম্বরে, যখন তিনি এআই সুরক্ষা সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে, যুক্তরাজ্যের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাককে মাস্কের একটি সাক্ষাৎকারও নিতে দেখা যায়।