প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট টেকরেডার জানিয়েছে, এক প্রান্তিকে কোম্পানিটির আয় ১২ লাখ ৫৭ হাজার কোটি ওন (দক্ষিণ কোরিয়ার মুদ্রা) থেকে বেড়ে ১৪ লাখ ৪৬ হাজার কোটি ওনে পৌঁঁছেছে বলে ধারণা বাজার বিশ্লেষকদের।
মেমোরি চিপের মতো যন্ত্রাংশের উচ্চ চাহিদায় স্মার্টফোনের বিক্রি কমলেও আয় কমেনি স্যামসাংয়ের। প্রযুক্তি বাজারের শীর্ষ চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি স্যামসাং।
টেকরেডার জানিয়েছে, চিপ বিক্রি থেকে স্যামসাংয়ের আয় ৪৯ শতাংশ বেড়ে ১০ লাখ ৩০ হাজার কোটি ওনে পৌঁছেছে। মহামারী চলাকালীন সরবরাহ ব্যবস্থার অস্থিতিশীলতার মধ্যে ভোক্তা পণ্য ও ডেটা সেন্টারের যন্ত্রাংশের বাড়তি চাহিদা বড় ভূমিকা রেখেছে এই আয় বৃদ্ধিতে।
তবে, একইসঙ্গে এ বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোরিয়ান প্রযুক্তি জায়ান্টের নির্মিত স্মার্টফোনের বিক্রি ১৭ শতাংশ কমেছে বলে উঠে এসছে টেকরেডারের প্রতিবেদনে। স্যামসাং তিন মাসে সব মিলিয়ে ছয় কোটি ১০ লাখ থেকে ছয় কোটি ৮০ লাখ ডিভাইস সরবরাহ করেছে বলে জানিয়েছে সাইটটি।
২০২২ সালের প্রথম তিন মাসে স্যামসাংয়ের স্মার্টফোন সরবরাহ অন্তত ১১ শতাংশ কমেছে বলে এক বাজার বিশ্লেষক ধারণা করছেন বলে জানিয়েছে টেকরেডার।
তারপরও, অ্যাপল ও চীনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানগুলোকে পেছনে ফেলে স্যামসাং এখনও বিশ্বের বৃহত্তম স্মার্টফোন নির্মাতার শীর্ষস্থানটি দখল করে রেখেছে। বাজারের বিভিন্ন স্তরে নিজেদের শক্ত অবস্থান ধরে রেখেছে স্যামসাং। আর ৫জি প্রযুক্তির প্রচলন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির অবস্থান আরও শক্ত হবে বলে ধারণা করছে টেকরেডার।