ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খোলার খরচের বিষয়টি উদ্ধৃতি দিয়ে গেল রোববার দেশটির প্রেসিডেন্ট ফস্টিন-আরচেঞ্জ টোয়াডেরা বলেন, দেশটির আর্থিক সংকট মোকাবেলার উপায় হচ্ছে ক্রিপ্টোমুদ্রা।
“নগদ অর্থের বিকল্প হচ্ছে ক্রিপ্টোমুদ্রা।” -- দেশটির নিজস্ব ক্রিপ্টো উদ্যোগ সাংগোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেছেন টোয়াডেরা। এপ্রিলে বিটকয়েনের আইনি গ্রহনযোগ্যতা দেওয়া প্রথম আফ্রিকান রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে দেশটি।
“আমাদের জন্য উপায় হিসেবে আর থাকছে না প্রচলিত অর্থনীতি।”
এমন একটি দেশে ক্রিপ্টোমুদ্রা সংযোজনের সিদ্ধান্ত যেখানে ইন্টারনেটও কম ব্যবহৃত হয় ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থাও ভালো না, সেটি নিয়ে ভ্রু কুঁচকাচ্ছেন বিভিন্ন ক্রিপ্টো বিশেষজ্ঞ, আইন প্রণেতা এবং দেশটির বসবাসকারীরা।
পাশাপাশি, এই সিদ্ধান্তের কারণে দেশটিকে সতর্কবার্তা দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল। আর সাংগো প্রকল্পে ‘সাংগো কয়েন’ রাখার বিষয়টিকে সমর্থন জানিয়েছে দেশটির জাতীয় সংসদ ও এর নেতৃত্বে ছিলেন টোয়াডেরা।
তিনি আরও বলেছেন, স্বর্ণ ও হীরা সহ দেশটির ‘পাহাড়সম’ প্রাকৃতিক সম্পদে প্রবেশাধিকার দেবে এই টোকেন।
দেশটির ‘সাংগো’ ওয়েবসাইট বলছে, বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগকারীদের কাছে মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রের সম্পদের ‘টোকেনাইজেশন’ করবে তারা।
“মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রের নতুন প্রজন্মের মুদ্রা হবে সাংগো কয়েন” -বিস্তারিত কোনো তথ্য না দিয়েই বলেছেন টোয়াডেরা।
সম্প্রতি ক্রিপ্টো জগত লোকসানের মুখ দেখলেও এটি ক্রিপ্টোমুদ্রা নিয়ে মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রের আগ্রহকে কমাতে পারেনি। বাজার বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান রেফিনিটিভের ডেটা অনুযায়ী, গত তিন মাসে ক্রিপ্টোমুদ্রা বিটকয়েনের দাম কমেছে ৫৮ শতাংশ।