যুক্তরাষ্ট্রের অসামরিক নাগরিকদের জন্য সর্বোচ্চ পুরস্কার এটি। ‘দেশের সমৃদ্ধি, মূল্যবোধ এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে’ অথবা ‘বিশ্ব শান্তি, জনজীবন ও সামাজিক উন্নয়নের বড় ভূমিকা রেখেছেন’ এমন নাগরিকদেরই পুরস্কারটি দিয়ে থাকে যুক্তরাষ্ট্র সরকার।
শুক্রবার স্টিব জবসকে ‘মেডেল অফ ফ্রিডম’ এ ভূষিত করার ঘোষণা দিয়েছে হোয়াইট হাউজ।
স্টিভ জবস অ্যাপল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ১৯৭৬ সালে। কয়েক দশকের ব্যবধানে আন্তর্জাতিক প্রযুক্তিখাতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রভাবশালী কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে অ্যাপল। ২০১১ সালের ৫ অক্টোবরে তার মৃত্যুর আগে ম্যাক কম্পিউটার, আইপড এবং আইফোনের মতো প্রযুক্তি শিল্পের গতিপথ পাল্টে দেওয়া পণ্যগুলো বাজারে এসেছিল জবসের হাত ধরেই।
অ্যাপলের পাশাপাশি ব্যক্তিগত পর্যায়েও জনপ্রিয় ছিলেন জবস; রাজনীতির শীর্ষ ব্যক্তিদের সমালোচনা করতেও পিছপা হননি বিভিন্ন সময়ে।ওয়াল্টার আইজ্যাকসনের লেখা আত্মজীবনীতে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে নিয়ে তিনি ‘হতাশ’ বলে মন্তব্য করেছিলেন জবস।
“তিনি (ওবামা) বিপাকে পড়ছেন কারণ তিনি কাওকে খেপাতে চান না। আমরা কখনো এই সমস্যা হয়নি।”
শুক্রবারের বিবৃতিতে বিভিন্ন উদ্যোগে জবসের সৃজনশীলতার কথাও উল্লেখ করেছে হোয়াইট হাউজ।
“স্টিভ জবস ছিলেন অ্যাপল ইনকর্পোরেটেডের সহ-প্রতিষ্ঠাতা, সিইও এবং চেয়ারম্যান; পিক্সার সিইও এবং ওয়াল্ট ডিজনি কোম্পানিও নেতৃত্বও দিয়েছেন তিনি। তার লক্ষ্য, কল্পনাশক্তি এবং সৃজনশীলতা উদ্ভাবনী শক্তিকে এমনভাবে পরিচালিত করেছে যা পুরো বিশ্বের যোগাযোগের পন্থাকে পাল্টে দিয়েছে; কম্পিউটার, সঙ্গীত, সিনেমা এবং ওয়্যারলেস শিল্পকে রূপান্তর করেছে এবং এখনও করছে।”
এ বছর ‘মেডেল অফ ফ্রিডম’ পুরস্কারপ্রাপ্তদের তালিকায় স্টিভ জবস ছাড়া আরও আছেন সিমন বাইলস, গ্যাব্রিয়েল গিফোর্ডস, জন ম্যাককেইন, মেগান র্যাপিওনে এবং ডেনজেল ওয়াশিংটন।
পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান ৭ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ভার্জ।