স্যান ফ্রান্সিস্কোর আদালতে দায়ের করা মামলার এই রফা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, মামলাটিতে গুগলের বিরুদ্ধে স্মার্টফোন নির্মাতাদের সঙ্গে করা চুক্তি অপব্যবহারের, প্রযুক্তিগত বাধা প্রদানের এবং আয় ভাগাভাগির চুক্তির মাধ্যমে ‘অ্যাপ ইকোসিস্টেম’ বন্ধ করার অভিযোগ এনেছে অ্যাপ নির্মাতারা।
‘গুগল প্লে’র বিলিং ব্যবস্থায় ৩০ শতাংশ ‘সার্ভিস ফি’ যোগ করে অ্যাপ নির্মাতাদের বেশিরভাগ অর্থ প্রদান বন্ধের কথাও উল্লেখ রয়েছে ওই অভিযোগে।
প্রস্তাবিত নিষ্পত্তির অংশ হিসেবে, ২০১৬ সাল থেকে ২০২১ সালের মধ্যে বার্ষিক ২০ লাখ বা তার চেয়ে কম অর্থ আয় করা অ্যাপ নির্মাতাদের জন্য নয় কোটি ডলারের একটি তহবিল গঠনের কথা এক ব্লগ পোস্টে জানিয়েছে গুগল।
“যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ অ্যাপ নির্মাতা যারা গুগল প্লে’র মাধ্যমে আয় করেছেন, তারা এই তহবিলের অর্থ পাওয়ার জন্য বিবেচিত হবেন, যদি তারা চান” --ব্লগ পোস্টে বলেছে গুগল।
গুগল আরও বলেছে, গুগল প্লে স্টোর থেকে প্রতি বছরের প্রথম ১০ লাখ ডলার আয়ের পর নির্মাতাদের কাছ থেকে তারা ১৫ শতাংশ কমিশন নেবে। ২০২১ সাল থেকেই এই কমিশন নেওয়া শুরু করেছে গুগল।
রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, গুগলের প্রস্তাবিত নিষ্পত্তি বাস্তবায়নে অনুমোদন লাগবে আদালতের।
বাদি পক্ষের আইনি প্রতিষ্ঠান ‘হ্যাগেনস বারম্যান সোবল শ্যাপিরো এলএলপি’ বলছে, নয় কোটি ডলারের এই তহবিলের বিবেচনায় রয়েছেন প্রায় ৪৮ হাজার অ্যাপ নির্মাতা, যেখানে সর্বনিম্ন পরিশোধযোগ্য অর্থ ২৫০ ডলার।
২০২১ সালে কম আয়ের অ্যাপ নির্মাতাদের সঙ্গে চুক্তি করে অ্যাপ স্টোরের বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা শিথিল করেছিল অ্যাপল। তাদের ১০ কোটি ডলার অর্থ সহায়তা দিতেও রাজি হয়েছিল আইফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি।
যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস এমন একটি আইন তৈরির কথা বিবেচনা করছে, যা গুগল এবং অ্যাপলকে ‘সাইডলোডিং’-এর অনুমতি দেবে এবং কোনো অ্যাপ স্টোর ব্যবহার ছাড়াই অ্যাপ ইনস্টলের সুবিধা দেবে ব্যবহারকারীকে।
গুগল বলছে, এরইমধ্যে ‘সাইডলোডিং’-এর অনুমোদন দিয়েছে তারা। অ্যাপ নির্মাতাদের গুগল ও অ্যাপলের লেনদেন ব্যবস্থা ব্যবহারে বাধা দেবে এটি।