বেইজিংয়ের তথ্য চুরির ‘ছদ্মবেশি হাতিয়ার’ টিকটক?

অ্যাপ স্টোর থেকে টিকটক অ্যাপ মুছে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে অ্যাপল ও গুগলের শীর্ষ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে চিঠি পাঠিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ‘ফেডারেল কমিউনিকেশনস কমিশন (এফসিসি)’-এর এক রিপাবলিকান সদস্য।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 June 2022, 11:48 AM
Updated : 30 June 2022, 11:48 AM

চীনের কমিউনিস্ট সরকার টিকটক অ্যাপের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের বিশাল আকারের ব্যক্তিগত ও গোপন ডেটা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন এফসিসি কমিশনার ব্রেন্ডান কার।

গুগল ও অ্যাপল সিইওর কাছে ২৪ জুনের ওই চিঠিতে কার বলেছেন, মার্কিন নাগরিকদের বিশাল আকারের স্পর্শকাতর ডেটা সংগ্রহ করছে ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ টিকটক; আর ওই ডেটায় বেইজিংয়ে থাকা বাইটড্যান্স কর্মীদের প্রবেশাধিকার আছে।

টিকটকের মূল প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্স, যা চীনের সবচেয়ে বড় প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে একটি।

মঙ্গলবার ওই চিঠির বিস্তারিত তথ্য নিয়ে টুইট করেছেন ব্রেন্ডান কার।

“টিকটক কেবল আরেকটি ভিডিও অ্যাপ নয়।” অ্যাপটিকে বেইজিংয়ের তথ্য চুরির ছদ্মবেশ আখ্যা দিয়ে টুইটারে তিনি আরও বলেছন, “এটা বিপুল পরিমাণ স্পর্শকাতর ডেটা সংগ্রহ করছে এবং তদন্তে উঠে এসেছে যে, বেইজিং থেকে ওই ডেটায় অ্যাক্সেস করা হচ্ছে।”

অ্যাপল ও গুগলকে ৮ জুলাইয়ের মধ্যে নিজস্ব অ্যাপ স্টোর থেকে টিকটক অ্যাপ মুছে দিতে বলেছেন রিপাবলিকান দলের এই জনপ্রতিনিধি। অন্যথায়, শীর্ষ দুই প্রযুক্তি জায়ান্টের কাছে কারণ ব্যাখ্যা চেয়েছেন তিনি।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে ব্রেন্ডান কারের ওই চিঠিতে। অ্যাপ স্টোরের কনটেন্টের ওপর সরাসরি কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই এফসিসির। সাধারণত, বিভিন্ন কোম্পানিকে টেলিযোগাযোগের লাইসেন্স দিয়ে জাতীয় নিরাপত্তার রক্ষায় ভূমিকা রাখে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

তবে, কারের অভিযোগ যে আংশিক সত্য, তা পরোক্ষভাবে নিশ্চিত করেছেন এক টিকটক মুখপাত্র। যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে এমনকি চীন থেকেও কোম্পানির প্রকৌশলীরা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের ডেটায় প্রবেশাধিকার পেতে পারেন বলেন জানিয়েছেন তিনি।

তবে, সেটি নেহাতই ‘প্রয়োজনের ভিত্তিতে’ এবং ‘কঠোর নিয়ন্ত্রণের” অধীনে ঘটে বলে রয়টার্সকে জানিয়েছেন ওই মুখপাত্র।

কারের চিঠি প্রসঙ্গে রয়টার্সকে কোনো প্রতিক্রিয়া জানাতে রাজি হয়নি গুগল। অন্যদিকে, রয়টার্স অ্যাপলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাতে তাৎক্ষণিক সাড়া দেয়নি আইফোন নির্মাতা।  

যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ নিয়ে ডনাল্ড ট্রাম্পের শাসনামল থেকেই দেশটির আইনপ্রণেতা এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থার চাপের মুখে আছে টিকটক।

কর্তৃপক্ষের শঙ্কা প্রশমনে এ মাসের শুরুতেই দেশটির নাগরিকদের ডেটা ওরাকল কর্পোরেশনের স্থানীয় সার্ভারে সরিয়ে নেওয়ার কথা জানিয়েছে টিকটক কর্তৃপক্ষ।