ইউরোপের কয়েকটি দেশে ইতোমধ্যেই ‘কয়েনবেইজ গ্লোবাল ইনকের্পারেটেডে’র সেবা চালু আছে। কোম্পানিটি এখন ইতালি, স্পেইন, ফ্রান্স এবং নেদারল্যান্ডসের বাজারে নিজস্ব সেবা চালু করতে চায় এবং দেশগুলোতে নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ।
এ প্রসঙ্গে কয়েনবেইজের ভাইস প্রেসিডেন্ট নানা মুরুগেসান ব্লমবার্গকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, “এই সবগুলো বাজারে আমাদের খুচরা এবং প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ের পণ্য প্রচলনের লক্ষ্য আছে।”
যুক্তরাজ্য, আয়ারল্যান্ড, জার্মানিতে চালু আছে কয়েনবেইজের ব্যবসায়িক কার্যক্রম। সম্প্রতি সুইজারল্যান্ডেও নিজেদের প্রথম কর্মী নিয়োগ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
এ প্রসঙ্গে কয়েনবেইজের সঙ্গে যোগাযোগ করেও তাৎক্ষণিক কোনো উত্তর পায়নি বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
মন্দা চলছে ক্রিপ্টো মুদ্রার বাজারে। বিটকয়েন ও ইথেরিয়ামের মতো শীর্ষ ক্রিপ্টো মুদ্রাগুলোর দরপতনের সঙ্গে তাল মেলাতে না পেরে মাইনিংয়ের খরচ মেটাতে জমা রাখা ক্রিপ্টো মুদ্রা বিক্রি করে দিচ্ছেন মাইনাররা।
বাজারের এমন নাজুক পরিস্থিতিতে কয়েক সপ্তাহ আগেই যুক্তরাষ্ট্রে এক হাজার কর্মী ছাটাই করেছে কয়েনবেইজ; একই সঙ্গে ইউরোপে ব্যবসা বাড়ানোর চেষ্টাও করছে কোম্পানিটি।
ক্রিপ্টোর বাজার ধসের প্রভাব কয়েনবেইজের ওপরও পড়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। বাড়তি সুদের হার আর মুদ্রাস্ফীতি বাড়তে থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদ হিসেবে পরিচিতি ক্রিপ্টো মুদ্রা ও ডিজিটাল সম্পদ বেচে দিয়ে বাজার থেকে নগদ অর্থ তুলে নিচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা।
আর বিনিয়োগকারীরা ডিজিটাল সম্পদ বেচে দিতে শুরু করায় এ বছরে কয়েনবেইজের শেয়ারের দাম ৮০ শতাংশেরও বেশি কমেছে বলে উঠে এসেছে রয়টার্সের প্রতিবেদনে।