বিভিন্ন সময়ে ক্রিপ্টো মুদ্রা ও ডিজিটাল সম্পদ নিয়ে নিজেদের শঙ্কার কথা জানিয়েছেন রাশিয়ার কর্মকর্তারা। এই প্রযুক্তির বিরূপ প্রভাবে দেশের আর্থিক স্থিতিশীলতা ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে বলেও শঙ্কার কথা জানিয়েছিল দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
কিন্তু ফেব্রুয়ারি মাসেই ব্লকচেইন প্ল্যাটফর্ম ‘অ্যাটোমিজ রাশিয়া’-কে ডিজিটাল সম্পদ লেনদেনের প্রথম লাইসেন্স দিয়েছে দেশটির বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এর পরপরই একই লাইসেন্স পেয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকিং ও আর্থিক সেবাদাতা সেবারব্যাংক।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, নতুন আইন করে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার ধাক্কা সামলানোর চেষ্টা করছে রাশিয়া। ইউক্রেইনে সামরিক আগ্রাসনের জেরে পশ্চিমা শক্তি ও তাদের মিত্রদের নিষেধাজ্ঞা-অবরোধের মুখে ব্যাপক চাপের মুখে পড়েছে রাশিয়ার অর্থনীতি।
কিন্তু মঙ্গলবারে স্টেট দুমা সদস্যদের অনুমোদন পাওয়া খসরা আইনটিতে ডিজিটাল সম্পদ প্রচলনকারীদের মূসক থেকে রেয়াতি সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
ডিজিটাল সম্পদের বিক্রি থেকে আসা আয়ের ওপর আরোপযোগ্য কর হারের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে খসরায়।
রয়টার্স জানিয়েছে, বর্তমানে ডিজিটাল সম্পদের লেনদেন থেকে আসা আয়ের ২০ শতাংশ কর হিসেব কেটে রাখে রাশিয়া। নতুন খসরা আইনটি কার্যকর হলে রাশিয়ার স্থানীয় কোম্পানির ওপর করের হার হবে ১৩ শতাংশ এবং বিদেশি কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ।
তবে, এখনই কার্যকর হচ্ছে না খসরা আইনটি। খসরাটি প্রথমে রাশিয়ার পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষের সদস্যরা বিচার-বিবেচনা করে দেখবেন। এরপর প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রস্তাবে স্বাক্ষর করলে তবেই আইন হিসেবে কার্যকর হবে খসরাটি।