নিউ জিল্যান্ডের মাহিয়া থেকে নতুন একটি স্যাটেলাইট চাঁদে পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে মহাকাশযান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রকেট ল্যাবের নিউ জিল্যান্ডভিত্তিক অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
চাঁদের কক্ষপথে ‘গেইটওয়ে’ নামের নতুন একটি স্পেস স্টেশনের পরিকল্পনা করেছে নাসা, যেটি থেকে সহজেই চাঁদে নামতে পারবেন মহাকাশচারীরা। মার্কিন প্রকাশনা ব্লুমবার্গ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ‘গেইটওয়ে’র সম্ভাব্য কক্ষপথ নির্ধারণেই স্যাটেলাইটটি পাঠাচ্ছে রকেট ল্যাব।
অন্যদিকে, চাঁদের উদ্দেশ্যে পাঠানো মহাকাশযানের গতিবিধি এবং চাঁদকে ঘিরে আবর্তন নিয়ে গবেষণা চালাতে সোমবারেই নাসার সঙ্গে নতুন চুক্তির ঘোষণা দিয়েছে নিউ জিল্যান্ড সরকার।
এ প্রসঙ্গে নিউ জিল্যান্ড স্পেস এজেন্সির ব্যবস্থাপক অ্যান্ড্রু জনসন বলেন, “নাসার ক্যাপস্টোন মুন মিশনে যোগ দিতে নিউ জিল্যান্ডের মহাকাশ খাত প্রস্তুত। চাঁদের কক্ষপথের উদ্দেশ্যে নিউ জিল্যান্ড থেকে রকেট লঞ্চ ‘একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক’ বলে আখ্যা দিয়েছেন তিনি।
আরও বেশি সংখ্যক দেশ ও ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান চাঁদে মহাকাশযান পাঠানোর ফলে নতুন গবেষণাগুলো আরও গুরুত্বপূর্ণ হবে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
নতুন ‘আর্টেমিস’ প্রকল্পের অংশ হিসেবে চাঁদে মহাকাশচারীদের অবতরণের পরিকল্পনা করেছে নাসা। ২০২৫ সালেই আবার চাঁদের বুকে মহাকাশচারীদের পায়ের ছাপ পড়তে পারে। রেড প্ল্যানেট খ্যাত মঙ্গলের উদ্দেশ্যে অভিযানের প্রথম ধাপ হিসেবে দেখা হচ্ছে নাসার নতুন চন্দ্রাভিযানকে।
পাশাপাশি, চাঁদে প্রথম নারী নভোচারী অবতরণের পরিকল্পনাও করেছে নাসা।
রকেট ল্যাব জানিয়েছে, চাইলে মঙ্গলবারেই ‘কিউবস্যাট’ স্যাটেলাইটটি মহাকাশে পাঠাতে পারবে তারা। ২৭ জুলাই পর্যন্ত আবহাওয়া স্যাটেলাইট পাঠানোর উপযোগী থাকবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
নাসা সম্প্রতি তিনটি সাউন্ডিং রকেটের প্রথমটি লঞ্চ করেছে অস্ট্রেলিয়ার নর্দার্ন টেরিটোরি থেকে। পঞ্চাশ বছরের ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে কোনো বাণিজ্যিক লঞ্চপ্যাড ব্যবহার করেছে সংস্থাটি। নাসার রকেটটি লঞ্চ করার পরপরই নতুন ঘোষণা দিয়েছে নিউ জিল্যান্ড কর্তৃপক্ষ।
বাকি দুটি রকেট নিয়ে ২৬ জুন ও ১২ জুলাই, অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থিত আর্নহেম স্পেস সেন্টার থেকে পরীক্ষা চালানোর কথা রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে অস্ট্রেলিয়ান স্পেস এজেন্সির প্রধান এনরিকো পালেরমো সোমবার ব্লমবার্গকে বলেছেন, “মহাকাশে সত্যিই একটি রেনেসাঁ চলছে। আমরা স্পেসএক্সের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোকে মহাকাশে প্রযুক্তি পাঠানোর খরচ কমিয়ে আনতে দেখেছি। মহাকাশে কিছু করার প্রতিবন্ধকতা এখন অনেক কম।”