স্ন্যাপচ্যাট প্রকল্পটির ঘোষণা ২৩ জুন দিয়েছে বলে জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ভার্জ।
“কৃষ্ণাঙ্গ নির্মাতারা এই শিল্পে অনেক ধরনের বাধার মুখে পড়েন, এর মধ্যে ক্ষতিপূরণে বৈষম্য এবং নেতিবাচক অভিজ্ঞতা সহ আরও অনেক সমস্যা আছে।”--বলছে স্ন্যাপ।
“আমাদের ধারণা, এসব বাঁধা প্রতিরোধে আমরা যেভাবে সাহায্য করতে পারি, তা হচ্ছে উদীয়মান কৃষ্ণাঙ্গ নির্মাতাদের পেশাদার ক্যারিয়ারের প্রথম ধাপে মেন্টরশিপ এবং আর্থিক সহায়তা প্রদান।”
স্ন্যাপ আরও জানিয়েছে, বাছাই করা আবেদনকারীদের মাসিক উপবৃত্তি ও পরামর্শ দানের পাশাপাশি নিজস্ব পণ্যের আপডেটে প্রাথমিক প্রবেশাধিকারের সুযোগ দেবে এসব সহায়তা।
ভার্জের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রাথমিকভাবে প্রতি অংশগ্রহণকারীকে এক বছরের জন্য মাসিক ১০ হাজার ডলার দেবে স্ন্যাপ। পাশাপাশি, তারা একটি ‘গুগল পিক্সেল ৭ প্রো’ ডিভাইসও পাবেন।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পিছিয়ে পড়া কনটেন্ট নির্মাতাদের সহায়তায় উদ্যোগ নেওয়া সর্বশেষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান স্ন্যাপ। এতে আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি অন্যান্য সহায়তাও দেবে প্রতিষ্ঠানটি।
“এই প্রকল্পের উন্মোচন আমাদের বৃহত্তর এবং চলমান প্রচেষ্টার অংশ, যেখানে স্ন্যাপচ্যাটারদের বৈচিত্র্য এবং তাদের পছন্দকে প্রতিফলিত করবে আমাদের প্ল্যাটফর্মের কনটেন্ট।”--বলছে স্ন্যাপ।
‘৫২৩ প্রোগ্রাম’ নামে পরিচিত স্ন্যাপের এই প্রকল্পে অংশীদার হিসেবে আছে ‘গুগল পিক্সেল’, ‘ইউএনসিএমএমএন’ এবং ‘ওয়েস্টব্রুক মিডিয়া’।
যেসব সংখ্যালঘু মালিকানাধীন কনটেন্ট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ও কনটেন্ট নির্মাতা মাধ্যমটির বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন না, তাদের সমর্থণ ও প্রচারণায় এই প্রকল্পের নকশা হয়েছে।
স্ন্যাপচ্যাট প্রকল্পটির আবেদন উন্মুক্ত করবে ১২ অগাস্ট এবং নির্মাতা বাছাই করবে সেপ্টেম্বরের শুরুতে।
অন্যদিকে, এ বছরের শুরুতে ‘#ইউটিউবব্ল্যাক ভয়েসেস ফান্ড’ নামে একটি প্রকল্পের জন্য আবেদনকারী বাছাইয়ের ঘোষণা দিয়েছিল ইউটিউব।
এটি ইউটিউবের ২০২০ সালে দেওয়া প্রতিশ্রুতির ধারাবাহিকতা, যেখানে তারা পরবর্তী তিন বছরের জন্য কৃষ্ণাঙ্গ কনটেন্ট নির্মাতাদের পেছনে ১০ কোটি ডলার খরচের কথা দিয়েছিল ভিডিও প্ল্যাটফর্মটি।