লেনদেনের আকার বিবেচনায় নিলে বর্তমান বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ বাইন্যান্স। নতুন চুক্তির অংশ হিসেবে পর্তুগাল ফুটবল দলের কাণ্ডারী ও বাইন্যান্স জোট একটি ‘এনএফটি কালেকশন’ সিরিজ বাজারে আনবে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এনএফটিগুলো বিক্রি হবে বাইন্যান্সের নিজস্ব প্ল্যাটফর্মে। এ বছরই বাজারে রোনালদো-বাইন্যান্স জোটের প্রথম এনএফটির অভিষেক হবে বলে নিজস্ব ওয়েবসাইটে ঘোষণা দিয়েছে ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জটি।
প্রযুক্তিবাজারে ডিজিটাল সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে এনএফটিকে। তবে নির্দিষ্ট ব্লকচেইনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে এই ডিডিটাল সম্পদের অস্তিত্ব।
সহজ করে বললে, ব্লকচেইন প্রযুক্তি হল জনসাধারণের উন্মুক্ত খতিয়ান ব্যবস্থা; এর অংশ হিসেবে প্ল্যাটফর্মের প্রতিটি লেনদেনের হিসেব জমা থাকে ব্লকচেইন নেটওয়ার্কে থাকা কম্পিউটারগুলোতে।
ব্লকচেইন প্রযুক্তির ‘উন্মুক্ত খতিয়ান’ ভাবনার সবচেয়ে বড় ইতিবাচক দিক হলো, যে কেউ এমন প্ল্যাটফর্মে থাকা এনএফটির মালিকানা যাচাই করে দেখার সুযোগ পান, মালিকের পরিচয়ও জানা যায় সহজে।
কিছুদিন ধরে সময়টা ভালো যাচ্ছে না ক্রিপ্টো বাজারে বিনিয়োগকারীদের। বছরের শুরু থেকেই দাম পড়ছে বাজারের সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্রিপ্টো মুদ্রাগুলোর। বৈশ্বিক অর্থনীতিতে মন্দার শঙ্কায় ঝুঁকিপূর্ণ ডিজিটাল সম্পদগুলো বেচে দিচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা।
প্রযুক্তি ভক্তদের মধ্যে ২০২১ সালে এনএফটির জনপ্রিয়তা বাড়তে শুরু করে। গত বছরেই ছয় কোটি ৯০ লাখ ডলারে একটি ডিজিটাল শিল্পকর্মের এনএফটি বেচে আলোড়ন তুলেছিল যুক্তরাজ্যের অন্যতম শীর্ষ নিলাম কোম্পানি ক্রিস্টিজ।
২০২১ সালে টুইটারের সহ-প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক ডরসির প্রথম টুইট এনএফটি হিসেবে বিক্রি হয়েছিল ২৯ লাখ ডলারে। বছর না ঘুরতেই ওই এনএফটির দাম নেমে এসেছে ক্রয়মূল্যের ০.২ শতাংশে; বিক্রির চেষ্টা করেও প্রত্যাশিত দাম না ওঠায় আশাভঙ্গ হয়েছেন এনএফটির মালিক সিনা এস্তাভির।
রোনালদোর জনপ্রিয়তা ক্রিপ্টোর বাজারে সুদিন ফেরাতে পারে কি না, এখন সেটাই দেখার অপেক্ষা।
আরও খবর: