এই ফিচারটি চালু হলে, ব্যবহারকারী অ্যালেক্সার মাধ্যমে কার্যত পরিবারের প্রয়াত সদস্যদের কণ্ঠও নিয়মিত শোনার সুযোগ পাবেন বলে উঠে এসেছে বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে।
অ্যালেক্সা যেন এক মিনিটেরও কম সময়ে অডিও শুনে যে কোনো কণ্ঠ নকল করতে পারে, তার জন্য অ্যামাজন নতুন প্রযুক্তি নির্মাণ করছে বলে নিশ্চিত করেছেন কোম্পনিটির জ্যেষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট রোহিত প্রাসাদ।
বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে তিনি বলেন, মূল লক্ষ্য হচ্ছে মহামারীতে ‘ভালোবাসার মানুষদের মধ্যে অনেককে হারালেও স্মৃতিগুলোকে টিকিয়ে রাখা।”
ফিচারটি কবে নাগাদ বাজারে আসতে পারে, রয়টার্সের সে প্রশ্নের উত্তর দেয়নি অ্যামাজন।
অন্যদিকে, নতুন ফিচারটি নিয়ে অ্যামাজন এমন এক প্রযুক্তির দিকে হাঁটছে যা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েছে।
আইনপ্রণেতা ও নীতিনির্ধারকদের চাপ ও শাস্তিমূলক পদক্ষেপের শঙ্কায় কণ্ঠ নকল করতে সক্ষম নিজস্ব সফটওয়্যারটির সম্ভাব্য ক্রেতা নির্বাচনে বিধিনিষেধ দিয়েছে মাইক্রোসফট। বাক প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলায় এই প্রযুক্তির ব্যবহারের কথা বলা হলেও সমালোচকদের আশঙ্কা, কণ্ঠ নকল করে ভুয়া রাজনৈতিক প্রচারণা চালানোর কাজে ব্যবহৃত হতে পারে এই প্রযুক্তি।
অ্যামাজন আশা করছে নতুন প্রকল্পটি ক্রেতার জীবনে অ্যালেক্সার সর্বব্যাপী উপস্থিতি প্রতিষ্ঠা করতে কাজে আসবে।
রোহিত প্রাসাদ বলছেন, অ্যালেক্সা নিয়ে তার প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য হলো একে ‘সাধারণীকরণযোগ্য বুদ্ধিমত্তা’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা অথবা ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্টটিকে পারিপার্শিক পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার এবং নূন্যতম বাহ্যিক সহযোগিতার ভিত্তিতে নতুন কিছু শেখার সক্ষমতা দেওয়া।
রয়টার্স জানিয়েছে, লাস ভেগাসের সম্মেলনে কণ্ঠ নকল করার ফিচারটি নিয়ে একটি ভিডিও দেখিয়েছে অ্যামাজন। ভিডিওতে এক শিশু প্রশ্ন করছে, “অ্যালেক্সা, দাদীমা কি আমাকে উইজার্ড অফ অজ পড়ে শোনানো শেষ করতে পারবে?”
এক মুহুর্ত পরেই অ্যালেক্সা ওই শিশুর নির্দেশ নিশ্চিত করে নিজের কণ্ঠস্বর পাল্টে ফেলে উইজার্ড অফ অজ পড়ে শোনানো শুরু করে।