বার্তাসংস্থা রয়টার্স বলছে, নতুন আইন করে স্পর্শকাতর প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপিয়ান ইউনয়ন। আইনপ্রণেতা ও নীতিনির্ধারকদের কাছ থেকে কোনো কঠোর সিদ্ধান্ত আসার আগেই প্রথমসারির ক্লাউড সেবাদাতা প্ল্যাটফর্মগুলোর নিজ উদ্যোগে স্পর্শকাতর প্রযুক্তির লাগাম টানার চেষ্টাই প্রতিফলিত হচ্ছে মাইক্রোসফটের নতুন এই সিদ্ধান্তে।
গত বছর থেকেই ‘ইমোশন রিকগনিশন’ বা ছবি থেকে অনুভূতি নির্ধারণ প্রযুক্তির বৈজ্ঞানিক ভিত্তি পর্যালোচনা করে দেখছে মাইক্রোসফট।
বর্তমান দৃশ্যপটের ব্যাখ্যা দিয়ে মাইক্রোসফটের ‘অ্যাজিউর এআই’ বিভাগের প্রধান পণ্য ব্যবস্থাপক সারাহ বার্ড এক ব্লগ পোস্টে লিখেছেন, “ব্যবহারের ধরণ, অঞ্চল এবং বয়সভেদে ‘অনুভূতি’র সংজ্ঞা নিয়ে মতানৈক্য এবং মুখের অভিব্যক্তি ও অনুভূতির মধ্যে যোগসূত্র প্রতিষ্ঠায় অপারগতার ফলে নিয়ে গোপনতা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্ন উঠেছে এই প্রচেষ্টা নিয়ে।”
রয়টার্স জানিয়েছে, মাইক্রোসফটের ‘ইমোশন রিকগনিশন’ প্রযুক্তির বিদ্যমান ক্রেতারা আরও এক বছর কোম্পানিটির আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) টুল ব্যবহারের সুযোগ পাবেন। এ প্রযুক্তি নিয়ে দাবি ছিল, ছবি বিশ্লেষণ করে মানুষের অনুভূতি, লিঙ্গ, বয়স, হাসি, চুল এমনকি মেকআপ নিয়েও নানা তথ্য দিয়ে পারে প্রযুক্তিটি।
গুগল ক্লাউডও ২০২১ সাল থেকে নিজস্ব এআই প্রযুক্তির ব্যবহার ও কার্যকারীতা নিয়ে একই ধরনের পর্যালোচনা চালাচ্ছে। নিজস্ব টুল থেকে ১৩টি ‘অনুভূতি’ নির্ধারণ নিষিদ্ধ করেছে গুগল। পুনর্বিবেচনার আওতার রয়েছে খুশি ও দুঃখের মতো আরও চারটি অনুভূতির নির্ধারণ প্রক্রিয়াও।
তবে, এ প্রসঙ্গে রয়টার্সের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ার আহ্বানে সাড়া দেয়নি কোম্পানিটি।
অন্যদিকে মাইক্রেসফট বলছে, তাদের ‘ফেইশল রিকগনিশন’ সেবাগুলো ব্যবহারের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হবে আগ্রহী ক্রেতাকে। মাইক্রোসফটের প্রযুক্তির মাধ্যমে নিজের ‘ফেইস স্ক্যান’-এর করে পাসওয়ার্ড ছাড়াই ওয়েবসাইটে প্রবেশ এবং দরজার তালা খুলে যাওয়ার মতো প্রযুক্তির সুবিধা নিতে পারবেন ব্যবহারকারী।
পাশাপাশি, ব্যবহারকারীর গোপনতার অধিকার লঙ্ঘন হতে পারে, বিদ্যমান ক্রেতাদের এমন পরিস্থিতি এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে মাইক্রোসফট।