ভ্যাট প্রত্যাহারে ‘আকুল আবেদন’ বিসিএস-এর

২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবে ল্যাপটপ, প্রিন্টার ও টোনার কার্ট্রিজের ওপর প্রস্তাবিত বাড়তি ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে ‘আকুল আবেদন’ জানিয়েছে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস)।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 June 2022, 01:33 PM
Updated : 21 June 2022, 01:39 PM

মহামারীর সঙ্কটে জাহাজে পণ্য পরিবহন খরচ ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি এবং সম্প্রতি ডলারের দাম বাড়ায় কম্পিউটারের দাম “আরও ১০ শতাংশ বেড়েছে” বলে জানিয়েছে দেশে কম্পিউটার হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠনটি।

অন্যদিকে, বাংলাদেশের ক্রেতাদের সিংহভাগই মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত শিক্ষার্থী, ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ী এবং ফ্রিল্যান্সার উল্লেখ করে আমদানি করা ল্যাপটপ, প্রিন্টার ও টোনার কার্ট্রিজের ওপর বাড়তি ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ পণ্যগুলোকে দেশের সিংহভাগ ক্রেতার ক্রয় ক্ষমতার বাইরে নিয়ে যাবে বলে আশঙ্কার কথা জানিয়েছে সংগঠনটি।

৯ জুন বাজেট বক্তৃতায় ‘দেশীয় কম্পিউটার উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাড়তি সুবিধা দিতে’ আমদানি করা ল্যাপটপের ওপর ১৫ শতাংশ মূসক আরোপের প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী।

বাজেট প্রস্তাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, “দেশীয় কম্পিউটার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ অসম প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হচ্ছে। তাই ল্যাপটপ কম্পিউটার আমদানিতে ১৫ শতাংশ মূসক আরোপ করার প্রস্তাব করছি।”

মূসক বাড়ানোর পর আমদানির ক্ষেত্রে ‘প্রযোজ্য মোট করভার ৩১ শতাংশ’ হবে বলে জানান তিনি।

এ ছাড়াও, ডিজিটাল ডিভাইস রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ‘কম্পিউটার, প্রিন্টার ও টোনার কার্ট্রিজ আমদানিতে রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহারের’ প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।

এই দুটি প্রস্তাবেরই প্রত্যাহার চাইছে বিসিএস।

১৯৯৮ সালে কম্পিউটারের উপর সকল ভ্যাট এবং ট্যাক্স প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে যুগান্তকারী উল্লেখ করে বিসিএস বলেছে, অর্থমন্ত্রীর বাজেট প্রস্তাব কার্যকর হলে, ‘১৫% অতিরিক্ত ভ্যাট আরোপের ফলে সর্বমোট ৫৫% মূল্যবৃদ্ধি’ হবে।

এই বাস্তবতাকেই প্রধানমন্ত্রীর কাছে ল্যাপটপ, প্রিন্টার এবং টোনার কার্টিজের উপর প্রস্তাবিত অতিরিক্ত ১৫% ভ্যাট প্রত্যাহারে কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে সমিতি।