ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার-এর সমাধিস্থল ভাইরাল!

সদ্য অবসরে পাঠানো ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের একটি সমাধিস্থল ভাইরাল হয়েছে ইন্টারনেটে। এই সমাধিস্থল তৈরির মূল উদ্যোক্তা দক্ষিণ কোরিয়ার সফটওয়্যার নির্মাতা জুং কি-ইয়ং।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 June 2022, 11:01 AM
Updated : 19 June 2022, 11:01 AM

জুং-এর মতে, মাইক্রোসফটের ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার অবসরের সিদ্ধান্ত ব্রাউজারটির সঙ্গে ২৭ বছর পুরোনো ভালোবাসা ও ঘৃণার মিশ্রিত সম্পর্ক শেষ হওয়াকে চিহ্নিত করছে। সেটি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রয়টার্স।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্রাউজারটির প্রস্থান স্মরণে তিনি একমাস সময় দিয়েছেন এবং সমাধিস্থলটির পাথরের নকশা ও তৈরি করার পেছনে ৩৩০ ডলার খরচ করেছেন। সেই পাথরে এক্সপ্লোরার-এর ‘ই’ লোগোটিও রয়েছে।

সমাধিস্থলের এপিটাফে ইংরেজিতে লেখা রয়েছে, “জীবনকাল ১৭ অগাস্ট ১৯৯৫ ~ ১৫ জুন ২০২২। সে অন্যান্য ব্রাউজার ডাউনলোড করার জন্য অত্যন্ত ভালো টুল ছিল।”

স্মারক সমাধিস্থলটি দক্ষিণাঞ্চলীয় গায়েংজু শহরে অবস্থিত তার ভাইয়ের ক্যাফেতে প্রদর্শনীর জন্য পাঠানো হয়। সেখান থেকেই সমাধিস্থলটির একটি ছবি ভাইরাল হয়।

নিজস্ব দ্রুতগতির ব্রাউজার ‘মাইক্রোসফট এজ’-এর উপর নজর দিতে একসময় ব্যপক ব্যবহৃত ব্রাউজার ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের কার্যক্রম গত বুধবার বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মাইক্রোসফট।

জুং বলেছেন, এই সমাধিস্থল পুরোনো এই সফটওয়্যার নিয়ে তার মিশ্র অনুভূতি প্রকাশ করে, যা তার কর্মজীবনের বড় একটি অংশ হিসেবে কাজ করেছে।

“মাথাব্যাথার কারণ হলেও আমি একে ভালোবাসা ও ঘৃণা মিশ্রিত একটি সম্পর্ক বলব কারণ পুরো একটি যুগ রাজত্ব করেছে এক্সপ্লোরার।” --রয়টার্সকে বলেছেন তিনি।

তিনি আরও বলেছেন, অন্যান্য ব্রাউজারের তুলনায় এক্সপ্লোরার-এ তার তৈরি ওয়েবসাইট এবং অনলাইন অ্যাপ আসতে বেশি সময় লাগে।

ওয়েবসাইটগুলো যেন এক্সপ্লোরার-এ ভালো দেখায় সেটি বার বার নিশ্চিত হতে চাইতেন তার গ্রাহকরা। পাশাপাশি, ব্রাউজারটি অনেক বছর ধরে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারী অফিস ও অনেক ব্যাংকের ডিফল্ট ব্রাউজার হিসেবে ছিল।

১৯৯৫ সালে চালু হওয়া এক্সপ্রোরার এক দশকেরও বেশি সময় বিশ্বের শীর্ষ ব্রাউজার হিসেবে কাজ করেছে। কারণ মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের সঙ্গে যুক্ত হয়ে কোটি কোটি কম্পিউটারে প্রি ইনস্টলড হিসেবে থাকত ব্রাউজারটি।

২০০০ দশকের শেষে গুগল ক্রোমের সঙ্গে পেরে না ওঠায় ব্রাউজারটিকে অসংখ্য ইন্টারনেট মিম-এ মজার বিষয় হিসেবে দেখা হয়। কয়েকজন নির্মাতা ব্রাউজারটিকে ‘অলস’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।

জুং বলেছেন, যদিও তিনি সমাধিস্থলটির মাধ্যমে মানুষকে মজা দিতে চেয়েছেন, তবে অনলাইনে এর ছড়ানোর মাত্রা দেখে তিনি নিজেও বিস্মিত।

“এক্সপ্লোরারকে ধন্যবাদ দেওয়ার এটি আরেকটি কারণ। ব্রাউজারটি আমাকে বিশ্বমানের মজা নেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে।”--বলেছেন তিনি।

“আমি দুঃখিত এটা চলে গেছে, তবে আমি একে স্মরণ করব না। আমার কাছে এটি একটি ভালো মৃত্যু।”

আরও খবর: