সাইবার হামলার জবাবে সম্মুখ যুদ্ধের হুমকি রাশিয়ার

রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর ওপর সাইবার হামলার জেরে পশ্চিমা শক্তিকে সম্মুখ যুদ্ধের হুমকি দিয়েছে মস্কো।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 June 2022, 08:04 AM
Updated : 10 June 2022, 08:04 AM

সাইবার জগতে রাশিয়াকে চ্যালেঞ্জ করা হলে তার পাল্টায় নির্দিষ্ট লক্ষ্যের ওপর সামরিক হামলা চালানোর কথা বলেছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে সাইবার হামলার শিকার হয়েছিল রাশিয়ার গৃহায়ন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট। কিছু সময়ের জন্য ইন্টারনেটে সার্চ করলে সাইটটির বদলে ইউক্রেইনীয় ভাষায় ‘গ্লোরি টু ইউক্রেইন’ লেখা একটি পোস্ট পাচ্ছিলেন অনুসন্ধানকারীরা।

ওই হামলার পরিপ্রেক্ষিতে দেওয়া এক বিবৃতিতে রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো এবং রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলো সাইবার হামলার শিকার হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

রয়টার্স জানায়, বিবৃতিতে সাইবার হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউক্রেইনকে দায়ী করেছে রাশিয়া।

দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, “নিশ্চিত থাকুন, আগ্রাসী কাজের প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়া চুপ করে থাকবে না। আমাদের সবগুলো পদক্ষেপ হবে পরিমিত, নির্দিষ্ট লক্ষ্যের ওপর এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক আইন মেনে।”

মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক তথ্যনিরাপত্তা বিষয়ক প্রধান বিবৃতিতে অভিযোগ করেছেন, ওয়াশিংটন ‘ইচ্ছা করেই’ তথ্য প্রযুক্তির সামরিক ব্যবহারের সীমারেখাকে নিচে নামিয়ে আনছে।

“পশ্চিমের তথ্য প্রযুক্তির সামরিকায়ন এবং একে আন্তঃদেশীয় রেষারেষির রণক্ষেত্রে পরিণত করা সরাসরি সামরিক সংঘাতের ঝুঁকি আশঙ্কাজনক হারে বাড়িয়ে দিচ্ছে।”

গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেইনে সামরিক আগ্রাসন শুরুর পর থেকেই বিক্ষিপ্ত সাইবার হামলার শিকার হয়ে আসছে রাশিয়ার সরকারি সংস্থা ও সংবাদমাধ্যমের ওয়েবসাইটগুলো। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হ্যাক করা ওয়েবসাইটে রাশিয়ার আনুষ্ঠানিক অবস্থানের বিপরীত কোনো তথ্য-উপাত্ত পোস্ট করছেন হ্যাকাররা।

শুরু থেকেই ইউক্রেইনে সামরিক আগ্রাসনকে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ বলে আসছে মস্কো। রাশিয়া সরকারের দাবি, প্রতিবেশী দেশটিকে নিরস্ত্র করে ‘ফ্যাসিবাদী শক্তির হাত থেকে রক্ষা করতেই’ এ সামরিক অভিযান।

অন্যদিকে ইউক্রেইন ও পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার এই ব্যাখ্যাকে ‘বেআইনি আগ্রাসনের অজুহাত’ হিসেবে দেখছে।

রাশিয়ার ওপর বিদেশি ‘রাষ্ট্র সমর্থিত’ সাইবার হামলার সংখ্যা কয়েক গুণ বাড়ার কথা মে মাসেই জানিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এ প্রেক্ষাপটে নিজ দেশের তথ্য প্রযুক্তি নিরাপত্তা আরও জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।