ক্রিপ্টো প্রতারণায় শত কোটি ডলার লোপাট

অনলাইনে ক্রিপ্টো প্রতারণার শিকার হয়ে শতকোটি ডলারের বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছেন ভুক্তভোগীরা; বহুল ব্যবহৃত সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো আছে প্রতারণার হাতিয়ারের তালিকায়।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 June 2022, 09:22 AM
Updated : 4 June 2022, 09:22 AM

যুক্তরাষ্ট্রের বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘ফেডারেল ট্রেড কমিশন (এফটিসি)’ শুক্রবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০২১ সালের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত দেশটির ৪৬ হাজারের বেশি নাগরিক ক্রিপ্টো প্রতারণার শিকার হয়েছেন।

প্রতারণায় ক্রিপ্টো সম্পদ খোয়ানো ভুক্তভোগীদের অন্তত অর্ধেক বিজ্ঞাপন, পোস্ট অথবা মেসেজের মাধ্যমে প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

২০২১ সাল ছিল ক্রিপ্টো মুদ্রার বছর। গত বছরে ডিজিটাল সম্পদগুলো নিয়ে কেবল আলোচনা ও বিতর্কই বাড়েনি; ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো দেশের অনুমোদিত মুদ্রার স্বীকৃতি পেয়েছে বাজারের বৃহত্তম ক্রিপ্টো মুদ্রা বিটকয়েন।

সেপ্টেম্বর মাসে এল সালভাদর বিটকয়েনকে স্বীকৃত মুদ্রা হিসেবে অনুমোদন দেওয়ার পর নভেম্বর মাসেই সর্বোচ্চ দামের ইতিহাস গড়েছিল বিটকয়েন। ৬৯ হাজার ডলার ছুঁয়েছিল এই ভার্চুয়াল মুদ্রার দাম।

সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, এফটিসির প্রতিবেদন থেকে স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলছে যে, আর্থিক প্রতারণার মোক্ষম সুযোগ তৈরি করছে ক্রিপ্টো মুদ্রা আর সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলোর মিশেল।

প্ল্যাটফর্মগুলোর মাধ্যমে ভুয়া বিনিয়োগ সুযোগের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রায় ৫৭ কোটি ৫০ লাখ ডলার হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারকরা।

সামাজিক মাধ্যমে প্রতারণার ফাঁদে খোয়া যাওয়া প্রতি ১০ ডলারের মধ্যে চার ডলার ভুক্তভোগী প্রতারকদের দিয়েছেন ক্রিপ্টো মুদ্রা হিসেবে। ওই প্রতারণার ঘটনাগুলোতে ইনস্টাগ্রাম, ফেইসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এবং টেলিগ্রামের মতো প্ল্যাটফর্মগুলো সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়েছে বলে উঠে এসেছে এফটিসির প্রতিবেদনে।

ক্রিপ্টো প্রতারণায় গড়ে দুই হাজার ছয়শ ডলার করে হারিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। এক্ষেত্রে তারা বিটকয়েন, টেদার এবং ইথার কয়েনের মতো প্রথমসারির ক্রিপ্টো মুদ্রার মাধ্যমে প্রতারকদের অর্থ দিয়েছেন।