ইউক্রেইনে রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকেই রুশ সরকার আক্রমণ কৌশল হিসেবে হ্যাকিং চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে বলে অভিযোগ করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। এমন পরিস্থিতিতেই ৫৫ দেশের সঙ্গে নতুন নীতিমালা নির্ধারণের সমঝোতা চুক্তিতে গেল যুক্তরাষ্ট্র সরকার।
রয়টার্স জানিয়েছে, ৫৬ টি দেশের মধ্যে এ ধরনের প্রথম সমঝোতা চুক্তি হতে যাচ্ছে ‘ডেক্লেরেশন ফর দ্য ফিউচার অফ দ্য ইন্টারনেট’। এর অধীনে সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাবে মানবাধিকার, উন্মুক্ত তথ্য প্রবাহ, ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত গোপনতা। এ ছাড়াও উদীয়মান বৈশ্বিক ডিজিটাল অর্থনীতি ব্যবস্থার জন্য নিয়ম-নীতি নির্ধারিত হবে এই চুক্তির অধীনে।
ইন্টারনেট খাতকে নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাশিয়া ও চীন নানা পদক্ষেপ নিয়েছে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, এই খাতের প্রতিষ্ঠান ও সেবাগুলোর ওপর নানাভাবে চাপ সৃষ্টির চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে উভয় দেশে। বাইডেন প্রশাসন চীন ও রাশিয়ার সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডকে ‘বিপজ্জনক’ বলে আখ্যা দিয়ে আসছে। নতুন সমঝোতা চুক্তি সেই ‘বিপদ’ মোকাবেলার পদক্ষেপগুলোর অংশ বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
“রাশিয়া কী করছে দেখুন, চীন কী পদক্ষেপ নিচ্ছে, আর আমরা এটিকে (সমঝোতা চুক্তি) বিশ্বের কর্তৃত্ববাদী সরকারগুলোর ‘স্প্লিন্টারনেট’ প্রবণতার প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখছি”-- রয়টার্সের কাছে মন্তব্য করেছেন এক মার্কিন কর্মকর্তা।
ইউক্রেইনে সামরিক হামলা শুরু করার পর থেকে বিভিন্ন অবকাঠামোয় সাইবার হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। রুশ হ্যাকারদের আক্রমণের শিকার হয়েছে স্যাটেলাইটনির্ভর ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবস্থাও। সাইবার যুদ্ধ মোকাবেলা চেষ্টার অংশ হিসেবে নতুন পদক্ষেপ হিসেবেই একে বর্ণনা করছে বাইডেন প্রশাসন।
রয়টার্স জানিয়েছে, উন্মুক্ত ইন্টারনেট ব্যবস্থা গঠনের লক্ষ্যে গত বছরেও গণতান্ত্রিক দেশগুলোর এক জোট গঠনের চেষ্টা করেছিল হোয়াইট হাউজ। ওই চেষ্টারই পরিবর্তিত সংস্করণ নতুন সমঝোতা চুক্তিটি।
জোটে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও বাকি দেশগুলোর মধ্যে আছে অস্ট্রেলিয়া, আর্জেন্টিনা, বেলজিয়াম, কানাডা, ডেনমার্ক, জর্জিয়া, জার্মানি, গ্রিস, ইসরায়েল, ইতালি, জাপান, নেদারল্যান্ডস, যুক্তরাজ্য এবং ইউক্রেইন।
রয়টার্স জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে ৫টায় ভার্চুয়ালি এর ঘোষণা দেবেন জো বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্ঠা জেক সালিভান।