গেইমে এনএফটি না রাখার সিদ্ধান্তে ইউবিসফট

নিজেদের পরবর্তী ‘টিম ব্যাটল অ্যারেনা’ গেইমের ঘোষণা দিয়েছে ফরাসী গেইম নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘ইউবিসফট’। আসন্ন গেইমটিতে কোনো ‘নন ফাঞ্জিবল টোকেন (এনএফটি)’ থাকছে না বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 April 2022, 02:46 PM
Updated : 24 April 2022, 02:46 PM

‘প্রোজেক্ট কিউ (Project Q)’ কোডনামে পরিচিত এই গেইমের ফুটেজ টুইটারে ফাঁস হওয়ার পর প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে ঘোষণাটি এসেছে।

“এটি কোনো ‘ব্যাটল রয়াল’ গেইম নয়” --টুইটারে বলেছে ইউবিসফট।

“গেইমটিতে বিভিন্ন ‘পিভিপি’ মোড থাকবে, একক উদ্দেশ্য মাথায় রেখে। মজা!”

“গেইমে আমাদের এনএফটি যোগ করার পরিকল্পনা নেই, আসন্ন যাচাইয়ে নিবন্ধন করে ও অংশ নিয়ে এ সম্পর্কে আপনারা আরও জানতে পারবেন!”

ইউবিসফটের ওয়েবসাইটে ‘এক্সবক্স সিরিজ এক্স/ এস’, ‘এক্সবক্স ওয়ান’, ‘পিএস৫’, ‘পিএস৪’ ও পিসির জন্য আসন্ন যাচাইপর্বে ‘সাইন আপ’ করতে পারবেন ব্যবহারকারী। --ইউবিসফট-এর টুইটের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে লিখেছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ভার্জ।

পরীক্ষাগুলো কবে শুরু হবে, সেটি পরিষ্কার নয়। এ ছাড়া, গেইমটি চুড়ান্ত হলে ‘ফ্রি-টু-প্লে’ থাকবে কি না সেটিও নিশ্চিত নয়।

তবে, ইউবিসফট খেলোয়াড়দের আশ্বস্ত করেছে ‘প্রোজেক্ট কিউ’-এর ‘কিউ (Q)’ শব্দের অর্থ ‘কোয়ার্টজ’ হবে না। এটি প্রতিষ্ঠানটির ‘ইন-গেইম এনএফটি’ উদ্যোগের নাম, যা প্রতিষ্ঠানটির আরেকটি সিরিজ গেইম ‘ঘোস্ট রেকন’-এ ইতোমধ্যেই চালু হয়েছে।

ভিডিও গেইম ‘ফোর্টনাইট’ এবং ‘ওভারওয়াচ’-কে একসঙ্গে মেশালে যেমন দেখাবে, ঠিক সেই ধরনের ছবিই মিলেছে ভিডিও গেইম ফাঁসকারী টম হেন্ডারসনের ‘প্রোজেক্ট কিউ’-এর ফুটেজে।

এ ছাড়া গেইমটিতে দুটি ভিন্ন মোড থাকবে বলে এখনও ধারণা রয়েছে। একটি ‘শোডাউন (ব্যাটল রয়াল)’ ও অন্যটি ‘ব্যাটল জোন (টেরিটরি কন্ট্রোল)’। যেহেতু গেইমটি এখন পর্যন্ত প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে, সেই ক্ষেত্রে এর ফিচার পরিবর্তনও হতে পারে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ভার্জ।

এ প্রসঙ্গে ইউবিসফটের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তাৎক্ষণিক কোনো উত্তর পায়নি ভার্জ।

২০২০ সালে ‘হাইপার স্কেপ’ নামের একটি স্বল্প-স্থায়ী ‘ফ্রি-টু-প্লে ব্যাটল রয়াল’ বাজারে এনেছিল ইউবিসফট।

গেইমটির ‘ফিউচারিস্টিক শুটার’ গতানুগতিক ‘ব্যাটল রয়াল’ গেইমে নতুন মোড় নিয়ে এসেছিল। তবে, গেইমটির জনপ্রিয়তা দ্রুতই কমে যায়। ফলে, ২০২২ সালের ২৮ এপ্রিল গেইমটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে ভার্জ।